কল্যাণ ডেস্ক
ভারতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ময়মনসিংহ থেকে এক তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত সপ্তাহের রোববার (১৬ মার্চ) থেকে বুধবার (১৯ মার্চ) পর্যন্ত জেলার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে কয়েক দফায় ধর্ষণ করা হয় তাকে।
গ্রেফতাররা হলেন, মেহেদি হাসান ওরফে সবুজ (২৪), তার ভাই সাকিব হোসেন (২০) ও মো. গোলাম রসুল ওরফে রাকিব (২১)। তাদের সবার বাড়ি কালীগঞ্জের কাঠুনিয়া গ্রামে।
সাতক্ষীরার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তার বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়। পেশায় তিনি একজন মডেল ও পার্লারের রূপবিশেষজ্ঞ। কয়েকদিন আগে ফেসবুকে তার সঙ্গে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামের গোলাম রসুলের পরিচয় হয়। কয়েক মাস কোনো কাজ না থাকায় তিনি বাড়িতে বসে ছিলেন। গোলাম রসুলের সঙ্গে পরিচয়ের একপর্যায়ে তিনি ভারতে কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান। পরে তার কথায় ২২ মার্চ তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে মেহেদি হাসান ও গোলাম রসুল তাকে নিয়ে মেহেদির বাড়িতে নিয়ে রাখেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ, রোববার গ্রেফতার মেহেদির বাড়ি থেকে তাকে কদমতলা গ্রামের আমিনুল ইসলাম নামের একজনের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে অচেতন করে একে একে কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন সোমবার তাকে শ্যামনগর উপজেলার কুলতলী গ্রামে একজনের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। মঙ্গলবার আবারও তাকে কয়েকজন ধর্ষণ করেন। এরপর ফের তাকে মেহেদির বাড়িতে আনা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোরে তার কাছে থাকা মুঠোফোন দিয়ে ৯৯৯-এ কল করলে দুপুরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ও তিনজনকে গ্রেফতার করে।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল রশিদ মোল্যা শুক্রবার রাতে জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় মামলা করেছেন। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি আরও বলেন, ওই তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।