নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর কেন্দ্রিয় কারাগারে জাহাঙ্গীর কবির (৬৬) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তবে জাহাঙ্গীরের পরিবার অভিযোগ করেন, কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে। জাহাঙ্গীর যশোর শহরের কারবালা এলাকার মৃত আসাদ আলীর ছেলে। তিনি শহরের এইচএমএম রোডের জনতা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী।
মৃতের ছেলে সামিউল কবির আলভী অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছরের জুলাইয়ের ১৯ তারিখে চেক ডিজিওনার মামলায় তার এক বছরের সাজা হয়। ওই মাসেই তিনি আত্মসমর্পন করেন। চলতি মাসের ১২ তারিখে কারা কর্তৃপক্ষ ফোন করে জানান জাহাঙ্গীর কবির অসুস্থ তার ডায়রিয়া হয়েছে। তখন থেকে কারা হাসপাতালে তিনি কয়েকদিন পরপর ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ার কারণে কারা কর্তৃপক্ষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হলেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নিয়ে শুধু স্যালাইন দিয়ে হাজতে প্রেরণ করে। তিনি বলেন, যদি পরীক্ষা নীরিক্ষা করিয়ে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন, তাহলে তিনি মারা যেতেন না। আলভী আরও বলেন, এখানে কারা চিকিৎসক ও কারারক্ষীদের অবহেলা ছিল। আর তাদের কারণেই আমার বাবা মারা গেছেন। আমি এর বিচার চাই।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান বলেন, বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। ইসিজি করে তা নিশ্চিত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এবিষয়ে যশোর কেন্দ্রিয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, তিনি বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন। কারা হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন। তার চিকিৎসার কোন অবহেলা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।