নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার বলেছেন, জননেতার যা কিছু গুণাগুন প্রয়োজন তার সবটায় ছিল প্রয়াত আলী রেজা রাজুর মাঝে। আমরা তাকে সব সময় অনুসরণ করে চলি। তাকে হারানোর শূন্যতা কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী রেজা রাজুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ডা. আব্দুর রাজ্জাক কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ।
সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুলের আয়োজনে শাহীন চাকলাদার আরো বলেন, ‘আলী রেজা রাজু যখন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমি তখন ছিলাম সাধারণ সম্পাদক। আর এটাই ছিল আমার রাজনৈতিক জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। তিনি বলেন, আলী রেজা রাজু দীর্ঘ পথপরিক্রমায় হয়েছেন দলমত নির্বিশেষে রাজু থেকে রাজু দাদা।
স্মরণসভায় আলী রেজা রাজুর জামাতা চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘আলী রেজা রাজু খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। শিক্ষার প্রসারে তার প্রবল আগ্রহ ছিল। তিনি শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে কখনও রাজনীতি করেননি। ফেরদৌস বলেন, যশোরবাসীর প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল। তার প্রমাণ মেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার দিনগুলোতে। হাসপাতালে শয্যাশায়ী হলেও তার মনপ্রাণ সব সময় যশোরে পড়ে থাকত। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি সুস্থ হয়ে যশোরে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই আশা পূরণ হয়নি। কর্মের মাধ্যমে আলী রেজা রাজু চিরদিন যশোরবাসীর হৃদয়ে থাকবেন। মেজ মেয়ে সোনিয়া রেজা বলেন, ‘আমরা বাবা আলী রেজা রাজুকে হারিয়ে মাথার উপর থেকে বটবৃক্ষ হারিয়েছি। তাকে সব সময় মিস করি।
পৌর আওয়ামী লীগ নেতা এস এম ইউসুফ শাহিদের সঞ্চালায় বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহামুদ হাসান বিপু, বিশিষ্ট দন্ত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মোল্ল্যা, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা মিলি, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী প্রমুখ। আলোচনাসভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল।
