নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধন প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে উদ্যোক্তা ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, উদ্যোক্তা গহেরপুর গ্রামের শ্যামল বিশ্বাসের ছেলে শুভাশিস বিশ্বাস ও তার সহযোগী লেবুতলার জসিম উদ্দিনের ছেলে নিশাত। এ ঘটনায় ইউপি সচিব কোতোয়ালি থানায় রোববার রাতে মামলা করেছেন। অন্যদিকে, এ ঘটনায় চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন ও সচিব আব্দুল ওহাবকে শোকজ করা হয়েছে। একই সাথে সাতদিনের মধ্যে তাদেরকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পরিষদের উদ্যোক্তা শুভাশিস বিশ্বাস ও তার সহযোগী দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরণের অনিয়ম করে আসছিলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাইরের জেলার বাসিন্দাদের জন্ম নিবন্ধন প্রদান করতেন। তার স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র নিতেন না। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি চক্র মূলত লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন ও নাগরিকসনদ গ্রহণ করতেন। যার মূল হোতা ছিলো শুভাশিস। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি কাজ করতে গেলে তাকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দিতে হয়। অন্যথায় হয়রানি করা হয় বলেও অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস রোববার দুপুরে নিজেই ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হন। এরপর উদ্যোক্তা কক্ষে যেয়ে অভিযোগের প্রমাণ পান। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিষদে পরিদর্শনে যান। একই ভাবে রোববার লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদে যান তিনি। যেয়ে দেখেন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের লেবুতলা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে জন্মনিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে এর স্বপক্ষে কাগজপত্র দেখাতে বললে উদ্যোক্তা ব্যর্থ হন। তখন তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। একই সাথে এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে থানায় মামলা করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কেন এ ঘটনা ঘটলো সেজন্য চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করা হয়েছে। একই সাথে সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুইজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের সাথে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলনের মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।