নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের ঝিকরগাছায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির দুপক্ষের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক যুবদল কর্মী, তার বাবা ও ফুফাতো ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
বুধবার (২৩ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঝিকরগাছা থানার ওসি নুর মোহাম্মদ গাজী।
জানা যায়, সোমবার রাতে উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নের চান্দেরপোল মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে যুবদল কর্মী আরাফাত হোসেন লাল্টুর (৩৫) হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তার মাথা ও ঘাড়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। লাল্টু উপজেলার গুণনগর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।
লাল্টুর দুলাভাই শাহাজান বলেন, আমাকে বাঁচাতে গেলে লাল্টুর বাবা ও মামুন হামলার শিকার হন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তখন আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
চিকিৎসকদের বরাতে তিনি আরও জানান, লাল্টুর হাতের কব্জি কেটে ফেলতে হতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা সুলতানা মুন্নীর অনুসারী গুণনগর গ্রামের আরাফাত হোসেন লাল্টু ও রুবেলের সঙ্গে বিরোধ চলছিল সাবেক আহ্বায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু অনুসারী মিজান, সোহাগ ডাক্তার, রশিদ ও রেজাদের। এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সামাদ নিপুন বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক, দলে তার ঠাঁই হবে না। বিএনপি বা তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন থেকে কোনো বিশৃঙ্খলা করার উপায় নেই। আর অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ওসি নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছিল। এ ঘটনা তারই জের। মামলা প্রক্রিয়াধীন।