কল্যাণ ডেস্ক: মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, এক্সপোর্ট ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির জন্য ‘টাকার মান কমা ভালো’। ডলারের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য কমাতে হবে টাকার মান। আমরা চাচ্ছি দেশে আরও ডলার সরবরাহ হোক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হলে টাকার মান কমাতে হবে। টাকার মান ও এক্সচেঞ্জ রেট সমন্বয় করতে হবে।
রেমিটেন্স কমেনি দাবি করে শামসুল আলম বলেন, আমরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছি এটা বলা ঠিক নয়। আমরা অর্থনীতি সামাল দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের জুলাই-অক্টোবরে সর্বশেষ ৭ দশমিক ১৯৮ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। জুলাই থেকে অক্টোবরে বেশি রেমিটেন্স পেয়েছি। রেমিটেন্স কমছে কথাটা সত্য নয়। আমাদের এক্সপোর্ট ১৬ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন হয়েছে। গত মাসের থেকে এটা বেড়েছে। আমরা বিপরীতে নেই। উচ্চ মূল্যস্ফীতি সারা দুনিয়া ফেইস করছে আমরাও করছি।
আইএমএফ-এর তথ্যে দ্বিমত পোষণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ একমত না হলে কিছু আসে যায় না। প্রথাগতভাবে সরকার রিজার্ভ রক্ষা করছে। সরকার কোথাও কিছু লুকাইনি। আকু বিল পরিশোধ করার কারণে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। তবে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রিজার্ভ আছে বলেও উল্লেখ করেন ড. শামসুল আলম।
আরও পড়ুন: প্রকট ডলার সংকটে যশোরের ২০ ব্যাংক