ক্রীড়া ডেস্ক
লো স্কোরিং ম্যাচ। তারপরও লড়াই করলো বাংলাদেশ। বল হাতে ভালো কিছুর ইঙ্গিতও দিয়েছিল স্বাগতিক শিবিরের বোলাররা। কিন্তু পূঁজি অল্প হওয়ায় আটকানো যায়নি ইংল্যান্ডকে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও ইংল্যান্ডের হয়ে প্রতিরোধের দেয়াল গড়লেন ডেভিড মালান। করলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। তাতে জয়টাও পেয়ে গেল সফরকারীরা।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বুধবার মিরপুরে ইংল্যান্ডের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে ইংলিশরা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২০৯ রানে অল আউট হয় ৪৭.২ ওভারে। জবাবে শুরু থেকে ক্রমাগত উইকেট হারালেও মালানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ইংল্যান্ড লক্ষ্যে পৌঁছায় ৮ বল হাতে রেখে, ২১২/৭।
বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ। সাকিবের করা প্রথম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন জেসন রয়। ৬ বলে এক চারে চার রান করে সাজঘরে ফেরেন ইংলিশ ওপেনার।
ফিল সল্টকে নিয়ে সামনে এগুতে থাকেন ডেভিড মালান। কিন্তু বাংলাদেশের স্পিনারদের সামনে সুবিধা করতে পারেননি। নবম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট পতন। তাইজুলের ঘূর্ণি বুঝতে পারেননি সল্ট। হয়ে যান বোল্ড। ১৯ বলে ১২ রান করেন তিনি।
দলীয় ৪৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তাইজুলের বলে স্টাম্পড হন ৯ বলে ছয় রান করা জেমস ভিঞ্চ। এরপর ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে ফেরান পেসার তাসকিন আহমেদ। ১০ বলে ৯ রান করা বাটলার ক্যাচ দেন স্লিপে থাকা শান্তর হাতে। ৬৫ রানে ইংল্যান্ডের নেই ৪ উইকেট।
মালান ও উইল জ্যাকস দলকে টেনে নিয়ে যান ১০৩ রান পর্যন্ত। এরপর এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উইল জ্যাকসকে আফিফের তালুবন্দী করান তিনি। ৩১ বলে ২৬ রান করেন জ্যাকস। ২৭ ওভারে ১১০ রানে ইংল্যান্ডের নেই পাঁচ উইকেট।
ষষ্ঠ উইকেটে ইংল্যান্ডকে স্বস্তি এনে দেন মালান ও মঈন। তবে এই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৮ রানের জুটি ভাঙে মঈনের বিদায়ে। মিরাজ সরাসরি বোল্ড করেন ইংলিশ অলরাউন্ডারকে। ৩২ বলে এক চারে ১৪ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর ক্রিস ওকস সাজঘরে ফিরলেও আদিল রশিদকে সাথে নিয়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি পাওয়া ডেভিড মালান। ১৪৫ বলে ১১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংস সাজানো আটটি চার ও চার ছক্কায়। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মালানই। ২৯ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন আদিল রশিদ।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ১০ ওভারে তিনি দেন ৫৪ রান। তবে ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রানে দুই উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিব ও তাসকিন পান একটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। তার ব্যাটেই আসে সর্বোচ্চ ইনিংস। ৮২ বলে ছয় চারে ৫৮ রান করেন গেল বিপিএলে সিলেটের হয়ে দারুণ এই ব্যাটার। ৪৮ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তামিম ২৩, মুশফিক ১৬, তাসকিন ১৪, তাইজুল ১০ রান করেন।
