কল্যাণ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের রেললাইনের কাজ শেষ হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০টি ট্রেন চলতে পারবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী জুন মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচলের উপযোগী করা হবে। তবে মূল প্রকল্প ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত লাইনের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালে।’
আজ শনিবার দুপুরে চাষাড়া রেলস্টেশন ও নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী লেভেল ক্রসিং গেট টি২ এবং টি১ পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী।
ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে পদ্মা লিংক প্রজেক্টের জন্য রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমার মনে হয় এক দুই মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হয়ে যাবে।
তখন আমরা ট্রেন খুলে দিতে পারব। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত হওয়ার পর প্রতিদিন এই পথে ৫০ বার ট্রেন আসা যাওয়া করবে।’ নারায়ণগঞ্জবাসীর সুবিধার জন্য দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আজকের পরিদর্শনের মূল বিষয় আমাদের সমন্বয়ের কিছু বিষয় ছিল। বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আমাদের কিছু জায়গা রয়েছে ফার্স্ট গেট থেকে স্টেশন পর্যন্ত।
ডাবল লাইন যেহেতু হচ্ছে, আমাদের এখানে কিছু জায়গা শর্ট পড়ছিল। সড়কের কিছু অংশ যদি রেললাইনের দাগে আসে তাহলে এ অসুবিধা আর হয় না। এগুলো দেখে বাস্তবে এমন ধারণা ছিল যে, রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে আমি বলেছি, দুজনে মিলে সরেজমিনে দেখি কতটুকু প্রভাব পড়ছে। সেটা দেখতেই আজ এখানে আসা। রেলের প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারাও এখানে আছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘থিওরিটিকালি এ কাজটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আমার মনে হয় সেটা হবে না। এ রেললাইন নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্যেই হচ্ছে। এ ডাবল লাইন হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০টি ট্রেন চলতে পারবে। আমি মেয়রকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এসেছেন এখানে। আমরাও মাঠের কর্মী। জনগণের সমস্যা সমাধানে আমরা এখানে এসেছি।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘সব যানবাহনে ভাড়া বেড়েছে শুধু ট্রেনে ভাড়া বাড়েনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষের আরামদায়ক চলাচলের কথা চিন্তা করেই কাজ করা হচ্ছে।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রউফসহ রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭ জন