নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে পৌরসভা। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের দড়াটানা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ভৈরব নদের পাড়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানটি দড়াটানা থেকে শুরু হয়ে যশোর কুইন্স হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। এর আগে গত ২২ আগস্ট ভৈরব নদের দক্ষিণ পাশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। সেটি এখনো চলমান। এছাড়া ২৮ আগস্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনেসহ বিভিন্ন সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে রোববার উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাবিদ হোসেন। এসময় তিনি বলেন, কিছু মানুষ ড্রেনের উপরে অবৈধভাবে ঘর তৈরি করে পানি নিষ্কশন বাধাগ্রস্ত করছে। রাস্তার পাশে ফুটপথে দখল করে অবৈধ দোকান দেয়ার ফলে শহরে যানজট হচ্ছে। রাস্তার পাশের ফুটপথ দখল মুক্ত করতে এ অভিযান চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবারের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছিল। ড্রেনের ওপর গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনার ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না। অভিযান পরিচালনাকালে যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেনসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল হোসেন জানান, রাস্তার পাশে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করা হয়েছিল। দোকানগুলোর সামনে লোকজনের ভিড় থাকাসহ ইজিবাইক ও অটো-রিক্সা থামিয়ে রাখায় যাটজট সৃষ্টি করা হয়। এতে জনগণের দুর্ভোগে পড়তে হতো। এদিকে, লাইটিং সমস্যার সমাধান, ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও পৌর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে পৌর প্রশাসক প্রাথমিকভাবে ১০০ দিনের কর্মসূচি নিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, শহরের কোথাও কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। যশোর শহরকে পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত করা হবে।
জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার এ উচ্ছেদ অভিযানে পথচারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে উচ্ছেদ হওয়া স্থানে পূণরায় যাতে কেউ বসতে না পারে তার জন্য তদারকির আহ্বান জানান সচেতন মহল।