কল্যাণ ডেস্ক
বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে এবং অপারেশনাল টিমকে কারিগরি সহায়তা দিতে পুলিশের কেনাইন ইউনিট (ডগ স্কোয়াড) কাজ করে। বর্তমানে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ছাড়াও ডিএমপি ও র্যাবের ডগ স্কোয়াড রয়েছে।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়নে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে নারী হ্যান্ডলার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। সাত জন নারী পুলিশ সদস্য বেসিক কে-নাইন হ্যান্ডলার কোর্সে (ফিমেল) অংশ নিয়ে এই নতুন যুগের সূচনা করেছেন।
প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন ব্রিটেন এবং নিউজিল্যান্ডের দুইজন পেশাদার ডগ স্কোয়াড প্রশিক্ষক টনি ব্রাইসন (ইউকে) ও মেলিন ব্রডউইক (নিউজিল্যান্ড)।
ইউএস অ্যাম্বাসি ও এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের যৌথ উদ্যোগে এই ট্রেনিং নারী পুলিশ সদস্যরা সফলতার সঙ্গে শেষ করেছেন। বৃহস্পতিবার তাদের হাতে প্রশিক্ষণ সমাপনী সার্টিফিকেট তুলে দিয়েছেন এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তোফায়েল আহম্মদ, কমান্ডিং অফিসার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি), হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপটেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এবং ঢাকার মার্কিন যুক্তরাষ্টের কর্মকর্তারা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা বলা হয়, ২০১৭ সালে দুটি ল্যাবরেডর, দুটি জার্মান শেফার্ড ও চারটি বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস জাতের কুকুর এবং ১৬ জন হ্যান্ডলার নিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কে-নাইন ইউনিট যাত্রা শুরু করে। শুধুমাত্র বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় ডেডিকেটেড এই ডগ স্কোয়াড বিমানবন্দরে আগত যাত্রী, সহযাত্রী এবং তাদের ব্যাগেজ স্ক্রিনিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এছাড়াও, ক্যানোপি নিরাপত্তা, পার্কিং এরিয়া এবং আগত যানবাহনে বিস্ফোরক পদার্থের উপস্থিতি সার্চ, ব্যাগেজ বেল্ট এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা এবং ভিভিআইপি নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডগ স্কোয়াড। এই ইউনিটে নারী হ্যান্ডলারদের সংযোজন বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করবে।
এ দিকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডগ স্কোয়াডে ২০২৫ সালের মধ্যে কুকুরের সংখ্যা ৬৬টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তৃতীয় টার্মিনালের সম্ভাব্য বিশাল অপারেশনের কথা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে বৃটেন এবং নেদারল্যান্ডস থেকে আরও অন্তত ১৫টি ডগ এই স্কোয়াডে যুক্ত হবে।
বর্তমানে ডগগুলো এক্সপ্লোসিভ সার্চের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেও অচিরেই নারকোটিক্স ডগ, ট্রাকিং ডগ, কারেন্সি স্নিফিং ডগও এই বহরে যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এসব ট্রেনিংয়ে কারিগরি ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে সহায়তা করবে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
একটি পরিপূর্ণ ডগ স্কোয়াড বিমানবন্দরে নাশকতা, মাদক চোরাচাল, স্বর্ণ চোরাচালন, মুদ্রা পাচার রোধে অসামান্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকরা।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৫ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
