যশোরে রুম্মান খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে পাওনা টাকা আনতে যেয়ে হোসাইন মোহম্মদ রুম্মান (৩১) প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছে। আরিফের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। আরিফ পুরাতন কসবা ঢাকা রোড রায়পাড়ার বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলায় রুম্মান হত্যার ঘটনা ঘটে। রুম্মান হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রুম্মান পুরাতন কসবা পুলিশ লাইন মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা। হত্যার ঘটনায় ভগ্নিপতি আলিমুজ্জামান ২৬ মার্চ রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
আসামিরা হচ্ছে পুরাতন কসবা ঢাকা রোড রায়পাড়ার আরিফ হোসেন আরিফ (৩০), আহাদ (২৭) ও শাহাদত হোসেন (২৬), পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার ইকরামুল (৩২), সদর উপজেলার শেখহাটির মাইমুন (৩২), নতুন উপশহরের সাজ্জাদ হোসেন (৩০), পুরাতন কসবা ঢাকা রোড এলাকার আব্দুর রহমান (২৯), একই এলাকার হৃদয় ওরফে গেরিলা হৃদয় (২৯), শুভ (২৯), ভাষা (৩০) ও জোনায়েত শিমুল (২৮)। পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।
মামলায় আলিমুজ্জামান উল্লেখ করেছেন, তার শ্যালক রুম্মান ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতো। পাওনা টাকা নিয়ে আসামি আরিফসহ অন্যান্য আসামিদের সাথে রুম্মানের পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধ চলে আসছিলো। ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টায় আসামি আরিফ রুম্মানকে পাওনা টাকা নেয়ার জন্য যেতে বলে। রুম্মান টাকা নেয়ার জন্য ঢাকা রোডস্থ পুরাতন কসবায় গিয়ে আরিফের কাছে পাওনা টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় আরিফের সাথে রুম্মানের কথাকাটাকাটি হয়। টাকা না পেয়ে রুম্মান বাড়িতে আসার প্রস্তুতি নিলে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রুম্মানের ওপর হামলা চালায়। আসামি আরিফের হুকুমে আসামি আহাদ বার্মিজ চাকু দিয়ে রুম্মানের বুকের বামপাশে পাজরে আঘাত করে। মাইমুন রুম্মানের হাত ধরে রাখে। আরিফ বার্মিজ চাকু দিয়ে আঘাত করে নাভির বামপাশে জখম করে। ইকরামুল ধারালো দা দিয়ে নিতম্বের বাম পাশে কোপ মেরে জখম করে। অন্য আসামিরা লোহার রড দিয়ে রুম্মানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। রুম্মানের চিৎকারে তাকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। রুম্মানকে উদ্ধার করে ২৫ মার্চ রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এস আই ইবনে খালিদ হোসেন জানান, রুম্মান হত্যার ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। আসামি গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।