ঢাকা অফিস :
নতুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘গরিবের জন্য উপহার’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, পুরো বাজেটই গরিব মানুষের জন্য উপহার। আমরা বিগত দিনে ফেল করিনি, ইনশাআল্লাহ আগামীতেও ফেল করব না।
অর্থমন্ত্রী শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
কর দেয়ার যোগ্য সবাইকে কর দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ দেশে অনেক মধ্য আয়ের মানুষ আছেন, তাদেরও ট্যাক্স পেমেন্ট করতে হবে। যারা আয় করেন ট্যাক্স দেয়ার সক্ষমতা আছে, তাদের ট্যাক্স দিতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে আমরা যে বাজেটগুলো দিয়েছি, প্রতি বছরই বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা কতটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, তা সবসময় প্রচার করেছি। ফেল করিনি, ইনশাআল্লাহ আগামীতেও ফেল করব না। এটি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে যারা উপস্থিত প্রত্যেকের দেশপ্রেম আছে, দেশপ্রেম আছে বলেই আমরা বারবার বিজয়ী হয়েছি। এদেশের সব কিছুর মূলে হলো মানুষ। তাদের কর্মদক্ষতা, দেশের প্রতি তাদের মায়া-মমতা, দায়বদ্ধতা অসাধারণ এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। আমার বিশ্বাস আমরা পরাজিত হবো না, বিজয়ী হবোই হবো।
বাজেটে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রভাব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের পরামর্শে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করা হয়নি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমরা কোনো পণ্য না পেলে খুঁজি বিকল্প কোন দেশে সেটি পাওয়া যাবে। সার্বিক বিষয়ে আইএমএফের ওভারঅল প্রেসক্রিপশন থাকে। তবে সেখান থেকে যেটুকু গ্রহণ করা যায় করবো। বাকিসব আমরা আমাদের মতো করবো।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। বিশাল এই বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
