নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে যশোরে বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের নামে মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলের এক দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের লালদীঘিস্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে এই মিছিল বের হয়।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে যশোরে কালো পতাকা মিছিল বের করে জেলা বিএনপি। মিছিলের আগে জেলা ও উপজেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম তার বক্তব্যের শুরুতে বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে। সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করেছে। আজ দেশের সীমন্ত অরক্ষিত রেখে পাশ্ববর্তী একটি দেশকে অবাধে বিচরণের লাইসেন্স দিয়েছে। যে কারণে নিজ দেশের সীমানের মধ্যে এসে অহরহ সীমন্তরক্ষী বাহিনী সদস্যদের পার্শ্ববতী সেই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি করে হত্যা করছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মধ্যে।
তিনি বলেন, আমাদের লড়াই দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। এই লড়াই দেশের জগণের সকল গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লড়াই। আমাদের ভয়ের কিছু নেই আমাদের সাথে দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ আছে। এ লড়াইয়ে জনগণের বিজয় অনিবার্য।
অধ্যাপক নার্গিস দলের চেয়ারপার্সন বেগম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। এছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি ও তাদের নামে দায়ের কৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বক্তব্য শেষে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের নেতৃত্বে কালো পতাকা মিছিল বের হয়। মিছিলটি দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে কিছু দূর যেতেই শহরের হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনালের সামনে এসে পৌঁচ্ছালে পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। মিছিলটি শহরের মাইকপট্টি, চৌরাস্তা ঘুরে আবার দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল ইসলাম, অভয়নগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারাজী মতিয়ার রহমান, মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ ইকবাল হোসেন, শার্শা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুজ্জামান মধু, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু, যশোর নগর বিএনপির সাধারণ এহসানুল হক সেতুসহ জেলা ও আট উপজেলার বিএনপির সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়। বাঁধার দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশ বাঁধা দিলে বিএনপি কর্মসূচি করতে পারে নাকি।
