নিজস্ব প্রতিবেদক: পরকীয়া ও ব্যভিচারের অভিযোগ করে পুলিশ কর্মকর্তা জসিম শিকদার ও তার প্রেমিকার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে একটি মামলা হয়েছে। বুধবার শহরের পুতারতন কসবা কাজীপাড়ার শহীদ মশিয়ুর রহমান সড়কের বাসিন্দা কানাডা প্রবাসী মাসুম হোসেন সিদ্দিক এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামি জসিম শিকদার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির পুইশুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি যশোর কোতোয়ালি থানার সাবেক এএসআই ও বর্তমানে খুলনার তেরোখাদা থানায় এসআই পদে কর্মরত আছেন। অপর আসামি শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন সড়কের শফি মিয়ার মেয়ে বেগম শরিফা আক্তার পিয়া।
মামলার নথি মতে, ১৯৯২ সালের ১৪ নভেম্বর মাসুম হোসেন সিদ্দিক ভালো চাকরি নিয়ে কানাডায় চলে যায়। ২০১৫ সালে তিনি দেশে ফিরে পারিবারিকভাবে মামাতো বোন শরিফা আক্তার পিয়াকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি তার নিজ বাড়িতে দাম্পত্য জীবনযাপন করেন। মামুন হোসেন সিদ্দিক তার স্ত্রী শরিফাকে কানাডায় নিয়ে যাবেন বলে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। শরিফার পাসপোর্টের ভেরিফিকেশনের দায়িত্ব পান এএসআই জসিম শিকদার।
এ কাজে জসিমের সাথে শরিফার পরিচয় হয়। এরপর জসিম নানা অজুহাতে তার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন। পুলিশ রিপোর্ট ভালো না হলে কানাডা যেতে পারবে না বলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। এরমধ্যে তার বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে তার বাসায় যাতায়াতের সুযোগ করে নেয় জসিম শিকদার। পরোকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে শরিফার সাথে। ২০১৬ সালে মামুন হোসেন সিদ্দিক কানাডায় চলে গেলে জসিম ও শরিফা গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন উপহার ও বিভিন্ন জায়গায় ঘোরা ও খাওয়া দাওয়া কারিয়ে শরিফার মন ভরিয়ে তোলে।
এরমধ্যে মামুনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ঢাকার মীরপুরে বাসা নিয়ে চলে যায়। জসিম কানাডা হাইকমিশনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই বাসায় রাত করায়। ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর মামুন হোসেন সিদ্দিক দেশে আসেন। ওই বছরের ২২ অক্টোবর মামুন হোসেন বিশেষ কাজের কথা বলে বইরে চলে যান। বিকেলে বাসায় ফিরে ঘরের বন্ধ দরজা খুলে তার স্ত্রী ও জসিম আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন। তিনি চিৎকার দিলে জসিম উঠে তার পিস্তল বের করে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ দিলে খুন করে লাশ গুম করবে বলেও হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ৬