নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে পৃথক দুই মাদক মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থ দণ্ডের আদেশ দিয়েছেন পৃথক আদালত। মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সুরাইয়া সাহাব এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বেনাপোলের ঘিবা গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেরে সিরাজুল ওরফে ওহেদুল ও বেনাপোল ধান্যখোলা গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন। আসামিদের উপস্থিতিতেই আদালত তাদেরকে সাজা প্রদান করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যার পর যশোরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ‘খ’ সার্কেলের সদস্যরা জানতে পারেন ঘিবা গ্রামের সিরাজুল ওরফে ওহেদুলের বাড়িতে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক নিয়ে অবস্থান করছে। রাত সাড়ে সাতটায় মাদকদ্রব্যের একটি টিম ওহিদুলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় অহেদুলকে আটক করে। এরপর অহেদুলের স্বীকারোক্তিতে তার ঘরের খাটের নিচ থেকে দুই বস্তায় থাকা ৪৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় তার সহকারী হিসেবে ঘিবা মোল্লাপাড়ার শহিদুল ইসলামসহ দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কমকর্তা এসআই সৈয়দ নুর মোহাম্মদ। মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণার দিনে ওহেদুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম। এছাড়া অপর আসামি শহিদুলকে খালাশ প্রদান করেন।
এছাড়া, ২০১৮ সালের ২ আগস্ট মধ্যরাতে বেনাপোলের বাহাদুরপুর এলাকায় দিয়ে মাদকের চালান যাবে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টিম তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এসময় ইমরানকে ২শ’ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন হাবিলদার কুমার মন্ডল ঘোষ। মামলাটি তদন্ত বরে আদালতে ইমরানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। মঙ্গলবার এ মামলার রায়ে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সুরাইয়া সাহাব ইমরানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।

 
									 
					