কল্যাণ ডেস্ক
বঙ্গবাজারে ‘আওয়ামী লীগের লোকেরা’ আগুন লাগিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় ‘ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীদের সম্পৃক্ততা’ বেরিয়ে আসবে বলেও দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার আজিমপুরে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ইফতারসামগ্রি বিতরণ অনুষ্ঠানে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনায় বিএনপির ‘হাত’ আছে কিনা, তা তদন্তের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে, বিএনপি ও ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উপর দোষ চাপাচ্ছে। বঙ্গবাজারসহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কিনা, আন্দোলনের ব্যর্থ হয়ে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি এবং তা তদন্ত করা দরকার।
সেতুমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজধানীর বঙ্গবাজারে আওয়ামী লীগই আগুন লাগিয়েছে। প্রকৃত নিরপেক্ষ তদন্ত যদি হয়, তাহলে সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের দ্বারাই (অগ্নিকাণ্ড) হয়েছে এটা বেরিয়ে আসবে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী শাসক গোষ্ঠীর প্রভাবশালী লোক বঙ্গবাজারকে দখলের চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগে যারা প্রভাবশালী, তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে একটি নির্বাচনও গ্রহণযোগ্য হয়নি, অংশীদারিত্বমূলক হয়নি। নির্বাচনগুলো আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী হয়নি। এজন্য স্বাভাবিকভাবে জাতিসংঘ চিন্তিত। বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র ছিল, সেটা চলে গেছে। সে কারণে তারা তাদের দায়িত্ব মনে করে বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত। সেই কারণেই তারা প্রধানমন্ত্রী এবং পরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সরকার যদি চায় তারা এখানে আসতে পারবে, কাজ করতে পারবে, তাহলে জাতিসংঘের সম্ভব হবে। কিন্তু আমরা স্বাভাবিকভাবে দেখেছি, সরকারের যে লক্ষ্য, তারা আবার আগের কায়দায় নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবে। সেভাবে তারা পরিকল্পনা করেছে।’
বৈঠকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপি চেয়ারম্যান ক্বারী মো. আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপা নেতা ইকবাল হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল রকিব, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকট আবুল কাশেম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
