নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে যৌতুক মামলার বদলি সাক্ষী দিতে এসে ধরা খেয়ে বাদী মেহেরুন্নেছা ও রমজান আলীর হাজতবাস করতে হয়েছে। রোববার তিনি তার ভাই আল আমিনের পক্ষে আদালতে সাক্ষী দিয়ে ধরা পড়েন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ উভয় পক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত হাজতবাসের নির্দেশ দেন। রমজান আলী যশোর সদরের গাইদগাছি গ্রামের মালেক মোল্যার ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গাইদগাছি গ্রামের মৃত ফজর আলী মোল্যার মেয়ে মেহেরুন্নেছা তার একই গ্রামের স্বামী সাজাহান মোল্যার বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় আল আমিন, জালাল, ফসিয়ারসহ ছয়জনকে সাক্ষী করা হয়। গতকাল এ মামলার সাক্ষীর দিন ধার্য ছিল। এ দিন বাদীর আইনজীবী শাহনাজ আক্তার বাদী মেহেরুন্নেছার আনা সাক্ষী আল আমিনের হাজিরা জমা দেন আদালতে।
সাক্ষী চলাকালে আসামি পক্ষ বিচারককে অবহিত করেন এ সাক্ষী আল আমিন নয় তার ভাই রমজান আলী। আল আমিন বিদেশে চলে যাওয়ায় তার পক্ষে রমজান আলী সাক্ষী দিতে নিয়ে এসেছেন বাদী মেহেরুন্নেছা। বিষয়টি বিচারের নজরে আনায় তৎক্ষণিক উভয় পক্ষের আইনজীবীর কাছে শুনে বদলি সাক্ষী রমজান আলী ও মামলার বাদী মেহেরুন্নেছাকে আটকের নির্দেশ দেন। আদালত শেষে তাদের হাজত খানায় নিয়ে রাখা হয়। কয়েক ঘণ্টা হাজতবাসের পর বিকেলে তাদের মুক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শাহানাজ আক্তার।
