নিজস্ব প্রতিবেদক
চাষিদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এতে করে বন্ধ হয়ে গেলো বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। সরকার ইমপোর্ট পারমিট না দেওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ আর আসছেনা। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান, ব্যবসায়ীরা বন্দর দিয়ে এসআরও (স্ট্যাটুটারি রুলস অ্যান্ড অর্ডার) এর মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করত। তবে সেটা ১৫ মার্চের পর আর থাকছে না। এখন ব্যবসায়ীরা যদি নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জোগাড় করে পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় করতে পারবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর পেঁয়াজ আমদানির জন্য সরকারের মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) মেয়াদ থাকে। সরকার নতুন করে আইপি না দেওয়ায় ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার নতুন করে আইপি দিলে তারপর আমদানি করা যাবে।
তিনি আরও জানান, দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে সেই কথা বিবেচনা করে ও দেশের কৃষকদের পেঁয়াজের বাজার মূল্য সঠিক পাওয়ার জন্য ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে দেশীয় কৃষকরা তাদের চাষকৃত পেঁয়াজের সঠিক মূল্য পাবেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ১৫ মার্চের পর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে।
এদিকে অন্যান্য বছরের মতো এবার রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ খাদ্যদ্রবটির দাম না বাড়ে সেদিকে সরকারকে বাজার তদারকি ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
শহরের বেজপাড়ার রমজার আলী জানান, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪- টাকা। তবে প্রতিবার রমজানের সময় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই সরকারকে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান তারা।
বেনাপোল বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শামিম হোসেন জানান, চাহিদা কম থাকায় এবার রোজার আগে আপাতত পেঁয়াজ আমদানির চিন্তা নেই। তবে দেশে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ায় আমদানি নিষিদ্ধ না করে কোটা নির্ধারণ করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৯ হাজার ৮৮৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন ও দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকায় গত ২ মাস ধরে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানির পরিমাণ অনেকাংশে কমেছে।
১ Comment
Pingback: নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ মামলার মূল আসামি গ্রেফতার