নিজস্ব প্রতিবেদক
বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল এক প্রকার উধাও হয়ে গেছে। ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা একতরফা তাদের নির্ধারিত দামের তেল বিক্রির চেষ্টায় আছে। রোববার নতুন দামের ২ লিটার তেলের বোতল বাজারে সরবরাহ করা হয়েছে।
এদিকে, সরকারের পিঁয়াজ আমদানির ঘোষণায় একদিনের মধ্যেই বাজারে দাম কমে গেছে। অপরদিকে শীতের সবজির সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায় এ সপ্তাহেও দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। রোববার যশোর শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সম্প্রতি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমত সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি লিটারে দাম বাড়িয়েছে ৯ টাকা। ব্যবসায়ীরা ১৮৯ টাকা লিটারের বোতল ১৯৮ টাকা, ২ লিটারের ৩৭৮ টাকার বোতল ৩৯৬ টাকা ও ৯২২ টাকার ৫ লিটারের বোতল ৯৬৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বড় বাজারের দোকানিরা আগের নির্ধারিত দামের সয়াবিন তেলের বোতল সরিয়ে ফেলেছে। অপরিচিত কোনো ক্রেতার কাছে তারা পুরোনো বোতল বিক্রি করছে না। অভিযোগ রয়েছে, বেশি দাম দিলে পরিচিত ক্রেতারা পাচ্ছে পুরোনো সয়াবিন তেল।
রোববার বাজারে মেঘনা গ্রুপের নির্ধারণ করা ‘ফ্রেশ’ ব্র্যান্ডের ২ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ৩৯৬ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এই কোম্পানির যশোর এরিয়ার টেরিটোরি ম্যানেজার দিদারুল আলম লোকসমাজকে জানান, তাদের নতুন নির্ধারণ করা বোতলজাত সয়াবিন তেল এখনও বাজারে আসেনি।
এদিকে সম্প্রতি ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি করা হবে না-এমন সংবাদে অসাধু মজুতদাররা বেশি দামে পিঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন। গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সরকার পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে একদিনের ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা দাম কমে গেছে।
রোববার বড় বাজার এইচ এম এম রোডে কালীবাড়ি মার্কেটের খুচরা বিক্রেতা বিকাশ শিকদার জানান, রোববার দেশি পুরোনো পিঁয়াজ প্রতি কেজি ১৪০ টাকা ও নতুন মুড়িকাটা পিঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮/২০ টাকা ও নতুন আলু ৪০ টাকা।
কালীবাড়ি মার্কেট এলাকার পাইকারি বিক্রেতা মেসার্স জীবন বাণিজ্য ভাণ্ডার’-এর স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম জীবন মিয়া জানান, সরকারের পিঁয়াজ আমদানির ঘোষণায় বাজারে দাম কমেছে। আগামী দুই একদিনের মধ্যে দাম আরও অনেক কমে আসবে।
বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এ সপ্তাহেও দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বড় বাজার এইচ এম এম রোডে খুচরা বিক্রেতা কৃষ্ণ চন্দ্র দাস জানান, রোববার সাদা বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, পিঁয়াজ কলি ১০০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, পালংশাক ৪০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ৩৫/৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে আসবে।
