নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত কখনও এদেশের জনগণের বন্ধু হতে পারেনা। ওরা খন্দকার মোস্তাকের অনুসারী। ওরা স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধীতাকারি, দেশদ্রোহী, জাতির পিতার হত্যাকারি। এ দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করুক, তা ওরা কোনদিন চায়নি এবং ভবিষ্যতেও চাইবেনা। এজন্য ওদের সাথে প্রেম-প্রীতি, ভালবাসা আদান-প্রদান, আত্মীয়তা করা সম্পূর্ণ বৃথা।
শনিবার বিকেল ৪টায় শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের শাখারীপোতা বাজার সংলগ্ন মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইউনুস আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক, চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন আরও বলেন, সেই ২০০১ সাল থেকে আমি শার্শা উপজেলাবাসীর সুখ-দুখের কান্ডারি হয়ে সেবা দেয়ার চেষ্টা করে আসছি।
এ সময় এমপি শেখ আফিল উদ্দিন আওয়ামী লীগকে আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সকল নেতা-কর্মীদের গ্রামে থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, প্রতিটি ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা শোনান। আওয়ামী লীগের সফলতার অনেক কিছু আছে, তা তুলে ধরেন। এদেশের জনগণ উন্নয়নে বিশ^াসী, তা পরীক্ষিত।
জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, সহ সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন, শাহ আলম হাওলাদার, মোহাম্মদ আলী, যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবল হোসেন রাসেল, বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ বজলুর ররহমান, বেনাপোল পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আহাদুজ্জামান বকুল প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা বাদশা মল্লিক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান তিতাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলহাস হোসেন, ইব্রাহিম বিশ^াস, আমির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক স্বপন, কৃষকলীগের সভাপতি মফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সুজন হোসেন, সাবেক মেম্বর লিয়াকত হোসেন, মেম্বর সোনাই শেখ, লাভলু বিশ^াস, আলম, আজমল হোসেন, কবির হোসেন, বকতজামান, আঞ্জুয়ারা, খাদিজা, শিউলি, তন্নী, শাহানারাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
