কল্যাণ ডেস্ক
দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে গত মার্চ মাসে ১১২ কোটি ৮৯ লাখ ৮ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ধার চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৯ কেজি ৮৭৭ গ্রাম স্বর্ণ, ৬ কেজি ৪৩৩ গ্রাম রূপা, ৪ লাখ ২৫ হাজার ৪৬৮টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৫ হাজার ৭১১টি ইমিটেশন গহনা, ১৩ হাজার ১৭০টি শাড়ী, ১ হাজার ৭০৬টি থ্রিপিস/ শার্টপিস/ চাদর/কম্বল, ৭ হাজার ৪১৩টি তৈরি পোশাক, ১ হাজার ০৮২ ঘনফুট কাঠ, ৫ হাজার ৭০৪ কেজি চা পাতা, ৯০ হাজার ৬৩৪ কেজি কয়লা, ৮৭১ কেজি কারেন্ট/সুতার জাল, ৪টি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ৪টি পিকআপ, ১৩টি প্রাইভেটকার, ২৭টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৬১টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ১টি মর্টার শেল, ১টি ম্যাগাজিন এবং ৩ রাউন্ড গুলি।
এছাড়া গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ২ লাখ ৯৭ হাজার ৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫ কেজি ৭৫৪ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৭ কেজি ৫৬৭ গ্রাম হেরোইন, ২১ হাজার ১৫৮ বোতল ফেনসিডিল, ২৩ হাজার ৩৩৬ বোতল বিদেশি মদ, ৪১৫ লিটার বাংলা মদ, ২ হাজার ৬৯৬ ক্যান বিয়ার, ২ হাজার ৩০৮ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৯০ ওহাজার ৬৯০ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২৫ হাজার ৭১৮টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৪ হাজার ১৮৫টি ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ৬০১ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭০৭ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ এবং ৬৮ হাজার ৫৫৩টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
এছাড়া গত মাসে অভিযান চালিয়ে ৯২ একর জমিতে চাষকৃত পপিক্ষেত ধ্বংস করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯১ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৭৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ৯ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ভোটগ্রহণ ব্যালটে: ইসি