সুজিৎ কুমার রায়, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ কয়রায় বেদকাশির কপোতাক্ষ নদীর বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
২০২০ সালের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং ২০২১ সালের ২১ মে ইয়াসে উপজেলার কপোতাক্ষ নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে দুটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ল-ভ- হয়ে যায় দেদকাশি ও কয়রা সদর ইউনিয়নের ২০ টি গ্রামের সহস্রাধীক ঘরবাড়িসহ রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির। ভেসে যায় শতাধিক ছোট বড় চিংড়ি ঘের ও জলমহল এবং কয়েক মাসের মধ্যে কাশিরহাট খোলার ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় লবণ পানির জোয়ার ভাটার কারণে কয়েকটি গ্রাম মরুভূমিতে পরিণত হয়।
২০২১ সালের শুরুতেই সেনাবাহিনীর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২২ কোটি টাকার টেন্ডার পেয়ে কাশিরহাট খোলার ক্লোজারসহ গাববুনিয়া পর্যন্ত সোয়া দুই কিলোমিটার বেড়িাবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে। স্থানীয়দের মতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নির্মাণ কাজে বিলম্ব হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¦াবধায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মানসম্মত কাজ করায় বসবাসের জন্য ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে এই এলাকা। এদিকে দীর্ঘদিন লবণ পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ বেদকাশি, গাজীপাড়া, গাববুনিয়া, হাজতখালী, কাটকাটা, কাটমারচর, কয়রা গ্রামের মানুষ এবং এসব এলাকার রাস্তাঘাট বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোন সামুদ্রিক জলোচ্ছাস না হলে বর্তমান দৃশ্যমান বাঁধ অনেকটা রক্ষা করবে বলে এসব ক্ষতিগ্রস্থরা একাধিক জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় শাখা কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, পাউবোর ১৩-১৪/২ নম্বর পোল্ডারের শুন্য থেকে আড়াই কিলোমিটার অর্থাৎ গাববুনিয়া থেকে কাশিরহাট খোলা কপোতাক্ষ নদীর বাঁধ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করায় এই এলাকা অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত। অনুরূপ দক্ষিণ বেদকাশি, কয়রা ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ কিছু এলাকায় বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম অব্যহত আছে।