বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: ৩দিন বেনাপোল বন্দর বন্ধ থাকার পর ২০ মার্চ সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রফতানি চালু হয়েছে। এতে আবারো কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে যে সব ট্রাক পণ্য নিয়ে এই ক’দিন দাঁড়িয়েছিল সেসব পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশে রফতানি করছে ভারতীয় কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। বন্ধ থাকার ফলে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছিল শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের শত ভাগ রফতানিমুখি গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামালসহ পচনশীল পণ্য রয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, পবিত্র শবেবরাত ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার তিনদিন বেনাপোল বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। অপরদিকে বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের বনগাঁ কালিতলা পার্কিং এর পার্কিং ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওপারের ৮টি সংগঠন নিয়ে গঠিত পেট্রাপোলে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট সমন্বয় কমিটি গত এক সপ্তাহ যাবত ভারত থেকে পণ্য বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ করে দেয়। পরে নতুন করে পার্কিং ফি ধার্য করায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় আন্দোলনকারীরা।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, গত এক সপ্তাহ যাবত বনগাঁ পার্কিং এর ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের ডাকে আমরা কোন পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিং থেকে বের করিনি। রাজ্য সরকারের পরিবহন অধিদফতার থেকে গত ১৬ মার্চ বর্ধিত পার্কিং ফি কমানোর পত্র আসার পর আমরা আবারো কাজে যোগ দেই। ১৭ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ বেনাপোলে সরকারি ছুটি থাকায় আমরা কোন পণ্য বেনাপোল বন্দরে পাঠাতে পারিনি।