কল্যাণ ডেস্ক
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৬ ট্রাকে ৬০ টন ভারতীয় কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে এসেছে। আজ রোববার দুপুরে এই কাঁচা মরিচ প্রবেশ করে। আজ সন্ধ্যার দিকে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আরও কাঁচা মরিচ আসবে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের আমদানি খরচ পড়েছে ৫০ টাকার মতো। তা ছাড়া আজ সন্ধ্যায় দেশের সবচেয়ে বড় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩৫ টন কাঁচা মরিচ প্রবেশ করবে বলে জানা গেছে।
ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আসার খবর শুনে দাম কমতে শুরু করেছে দেশের বাজারে। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের মরিচের বাজারে একদিনের ব্যবধানে কমেছে মরিচের দাম। গতকাল শনিবার মরিচ ৪০০ টাকা কেজি হলেও আজ রোববার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হয়েছে। প্রথমে ৩৭০ টাকা দরে বিক্রয় হলেও পরবর্তীতে মরিচের দাম কমে যায়।
গাংনীর মরিচ চাষি হায়বাত আলী বলেন, ‘মরিচের বস্তা দেখলেই ব্যবসায়ীরা টানাটানি করতে থাকে। মরিচের বাজার গতকাল শনিবার ৪০০ টাকা থাকলেও আজ রোববার দাম কমেছে। আজ মরিচের বাজার প্রথমে ৩৭০ টাকা থাকলেও পরবর্তীতে কমে ৩০০ টাকা হয়। মরিচের এমন দাম থাকলেও অনেক লাভ হবে। আমি ইতিমধ্যে ৬০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রয় করে ফেলেছি। গাছে প্রচুর মরিচ রয়েছে।’
ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এল ৬০ টন কাঁচা মরিচভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এল ৬০ টন কাঁচা মরিচ
ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আমির হামজা বলেন, প্রতি টন কাঁচা মরিচের এলসিমূল্য ৪৫০ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ে প্রায় ৫০ টাকা। দেশে এ মরিচ ৬০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব।
ভোমরা স্থলবন্দরের আরেক ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, প্রতিদিন যদি ভোমরা থেকে ৩০-৪০ ট্রাক কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে ঢোকে, তাহলে দাম এমনিতেই কমে যাবে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, ‘দেশীয় বাজারে ঝালের দাম এবার স্থিতিশীল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পরে আজ প্রথম দিনেই এ পর্যন্ত ৬ ট্রাক কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সন্ধ্যার দিকে আরও মরিচ ঢুকবে। আমাদের যথেষ্ট এলসি ও আইপি পারমিশন আছে। আগামীকাল থেকে প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ ঢুকবে। তখন বাজারে একটা স্থিতিশীল অবস্থা চলে আসবে।’
প্রসঙ্গত, বর্ষা মৌসুমে দেশি কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে গেছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।