নিজস্ব প্রতিবেদক
জমি সংক্রান্ত বিরোধকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অভিযোগ করে যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছে সদরের ভেকুটিয়া গ্রামের আব্দার হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দার হোসেন জানান, শত বছরেরও বেশি সময় ধরে তার পরিবার ভেকুটিয়া গ্রামে হিন্দু মুসলিম মিলে-মিশে বসবাস করে আসছেন। তাদের পৈত্রিক ৮ শতক জমি অজিতদের নামে ভুলবশত রেকর্ড হয়। এরপরে ওই জমি একই এলাকার চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মান্নান ও তার লোকজন অবৈধভাবে দখলে রাখে। আদালতের শরণাপন্ন হয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় ডিক্রি প্রাপ্ত হলে ওই জমি দখল করতে যান তিনি। এ সময় ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় শতাধিক পরিবারকে উস্কে দিয়ে বিষয়টি সাম্প্রদায়িক গোলযোগের দিকে প্রভাবিত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে মান্নান বাহিনী।
তিনি জানান, আদালতের আদেশ জারির পর গত ১০ আগস্ট জারিকারকসহ আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় লোকজন তার পৈত্রিক ৮ শতক জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে আব্দুর মান্নান ও মাধাই বাধা প্রদান করে। এ সময় তারা গাছি দা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জারিকারক, চেয়ারম্যানসহ অন্যদের ঘিরে ধরে। এ সময় তারা আব্দার হোসেনের নিকট ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরিস্থিতি ভয়ানক হওয়ায় তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে পুলিশ আসার আগেই মান্নান ও মাধাইয়ের লোকজন চেয়ারম্যান ও তিনিসহ উপস্থিত সকলকে লাঞ্ছিত করে। এ বিষয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এবং যা আদালতে বিচারাধীন।
তিনি আরো বলেন, প্রথম থেকেই এই মান্নান ও মাধাই বাহিনী বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ করে সংবাদপত্রে ভুয়া মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এর আগে একটি সংবাদপত্রের নামে মানহানি মামলাও করেছি। কিছু সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনা যাচাই-বাছাই না করেই মান্নান ও মাধাই বাহিনীর পক্ষ নিয়ে সাম্প্রদায়িক গন্ধ খুঁজছে। এ বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা ও সত্য উদঘাটন বের করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল মোতালেব, আব্দুল খালেক, সাবেক মেম্বর বদর উদ্দিন বুদো, ফারুক হোসেন, আবুল কালাম, ফজলুর রহমান, খাদিজা বেগম, নাহার বেগম, মন্টু শেখ, সৈয়দ আলা, জামাল মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন রিপন, শুকুর আলী, তোফাজ্জেল হোসেন, বিল্লাল হোসেন, শেখ সুইট প্রমুখ।