নিজস্ব প্রতিবেদক
ইট বিক্রয়ের পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো ভাটার মালিককে আটক ও পেন্ডিং মামলা দেয়ায় ৬ বছর পরে মণিরামপুর থানার সাবেক ওসিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলার খোজালিপুর গ্রামের মেসার্স জনা ব্রিকসের মালিক আব্দুল কাদের বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুর রহমান মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে) আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী বনি আমিন।
আসামিরা হলেন, মণিরমানপুর থানার সাবেক ওসি শহিদুল ইসলাম, এসআই প্রশান্ত কুমার দাস ও এসআই দেবাশীষ মন্ডল। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল কাদের মণিরামপুরের সোহরাব মোড়স্থ মেসার্স জনতা বিকসের মালিক। আসামিদের নিজেদের প্রয়োজনে মেসার্স জনতা ব্রিকসে গিয়ে ইট ক্রয়ের প্রস্তাব দেন। প্রতিগাড়ি ইটের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৮ হাজার টাকা। এরপর আসামিদের চাহিদা অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ মার্চের মধ্যে ৫২ গাড়ি ১ নম্বর ও পিকেট ইট সরবরাহ করা হয়। এরমধ্যে আসামিদের কাছে পাওনা থাকে ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
আসামিদের চাহিদা অনুযায়ী ইট সরবরাহ করার পর পাাওনা টাকা চাইলে তারা দ্রুত দিয়ে দিবেন বলে আশ^স্ত করেন। এক পর্যায়ে আসামিরা পাওনা টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। ওই বছরের ১১ নভেম্বর আসামিরা ভাটার সামনে ডিউটিতে আসলে সংবাদ পেয়ে বাদী ঘটনাস্থলে গিয়ে পাওনা টাকা চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। এসময় বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আসামিরা ভাটার মালিক আব্দুল কাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর আব্দুল কাদেরকে একটি পেন্ডিং নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় জামিনে মুক্তি পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এই মামলাটি করেছেন।