নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলীর ওপর হামলা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দিতে গিয়ে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রদানকারী ও এক এএসআইসহ কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন, সহকারী পুলিশ সুপার আবু দাউদসহ স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।
শনিবার (২৭ জুলাই) উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত গরীব ও দুস্থ রোগীদের মাঝে চেক বিতরণের অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সবাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুসারী বলে পরিচিত। তবে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু দাবি করেন তার অনুসারীরা এ ঘটনায় জড়িত নয়। বরং প্রতিপক্ষরা তার তিন কর্মীকে মারপিট করেছে। তারা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
আহতরা হলেন, যশোর-৫ মণিরামপুর আসনের সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, এএসআই ফিরোজ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম বাপ্পী হুসাইন, আবু সালেহ ও রিয়াদ হোসেন। এরমধ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে গরীব ও দুস্থ রোগীদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরাদ্দকৃত চেক বিতরণের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান অতিথি এস এম ইয়াকুব আলীর বক্তব্যের শুরুতে হলরুমের বাইরে হট্টগোল শুরু হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত কতিপয় ব্যক্তিরা হলরুমের দরজা ধাক্কা-ধাক্কি করে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় দরজার কাছে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম বাপ্পী হুসাইন, আবু সালেহ ও রিয়াদ হোসেনকে মারধর করে ভেতরে প্রবেশ করে গোলযোগ করে। এ সময় তারা সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলীর ওপর হামলা করতে পারে এই আশঙ্কায় তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের সাবেক এসআই শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। শহিদুল ইসলামকে পেয়ে তার ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তাকে বেধড়ক মারধর করাসহ পদদলিত করা হয়। একই সময় সরকারি কাজে দায়িত্ব পালনকারী ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেনকে মারধর করা হয়।
ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ ঘোষের ওপর হামলার বর্ণনা দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেনসহ ৫ জন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারে না। যারাই এ ঘটনায় জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। থানার ওসি এবিএম মেহেদি মাসুদ বলেন, তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।