নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত দুই ট্রাক ভর্তি ১ হাজার ৩১৭ বস্তা চাল আটক করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান সেখানে গিয়ে সরকারি বস্তায় চাল বিক্রির দায়ে জরিমানা করেন। রোববার সকালে উপজেলার বাঁধাঘাটা মোড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। মোড়ের ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের গুদামে চালগুলো নামানো হচ্ছিল। তখন সরকারি বস্তাভর্তি চাল ব্যক্তিগত গুদামে নামাতে দেখে পুলিশ ও সাংবাদিকদের খবর দেয় স্থানীয়রা। মণিরামপুরের বাঁধাঘাটা মোড়ের ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক রাসেল হোসেন ফরিদপুরের ভাঙ্গার হাজী শরিয়ত উল্লাহ বাজারের মেসার্স হাওলাদার ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল হালিম হাওলাদারের কাছ থেকে শনিবার ৪৭ মেট্রিক টন চাল কেনেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান বলেন, ‘দুই ট্রাক ভর্তি ১ হাজার ৩১৭ বস্তা চাল ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক রাসেল হোসেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে কিনেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। চালগুলো দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেখানকার বিভিন্ন ম-পে সরকার বরাদ্দ দিয়েছিল। সেই চাল ভাঙ্গার এক ব্যবসায়ী কিনে মণিরামপুরের রাসেল হোসেনের কাছে বিক্রি করেছেন। রাসেল হোসেন আমাদের চালান রশিদ দেখিয়েছেন।’ এসিল্যান্ড আরও বলেন, ‘রাসেল হোসেন চাল কিনে এনেছেন সত্য। তিনি আলাদা বস্তায় করে চাল না এনে সরকারি বস্তায় এনে অপরাধ করেছেন। এ কারণে ভোক্তা অধিকার আইনে রাসেল হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’ সরকারি চাল এভাবে কেনাবেচার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে আলী হাসান বলেন, সরকারি চাল কেনাবেচার সুযোগ নেই। সরকার যে উদ্দেশ্যে চাল দিয়েছে, সে কাজে লাগাতে হবে। তবে উপকারভোগী চাইলে চাল নিজে ব্যবহার করতে পারেন, আবার বিক্রি করে অন্য কাজেও লাগাতে পারেন। কিন্তু সরকারি বস্তা এই কাজে ব্যবহার করতে পারেন না। এ অপরাধেই মূলত তাকে জরিমানা করা হয়েছে। এ বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, মূলত দূর্গাপূজার সময় ম-পে আসা ভক্তদের খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে ম-পপ্রতি সরকার ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়। এই চাল বাইরে বিক্রির সুযোগ নেই।
