নিজস্ব প্রতিবেদক
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আলোচকরা বলেছেন, দক্ষিণবঙ্গে শিক্ষার পীঠস্থান হচ্ছে সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ, যার নামকরণ করা হয়েছে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে। তিনি আমাদের যশোর জেলার কৃতী সন্তান। তার সময়কালে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে আধুনিক মানুষ; তার পড়াশুনা, তার সাহিত্য তার রুচি-সবকিছুই ছিল আধুনিক। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ প্রাঙ্গণে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচন সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথিরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কাজী নাবিল আহমেদ এমপি।
তিনি এমএম কলেজের প্রিন্সিপ্যাল মহোদয়কে অনুরোধ করছি, ১৯৪১ সালের পর থেকে এই কলেজের সাবেক ছাত্র যারা দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন, তাদের নাম লিপিবদ্ধ করতে। সেগুলো যেন রেকর্ড হিসেবে থাকে। প্রধান অতিথি এই প্রথম যশোর সরকারি এমএম কলেজে মহাকবির জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে পালন করায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে অনেক কিছুর মধ্যে এই সময়ে একটি অডিটরিয়াম জরুরি। আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলাপ করবো এবং এই মেয়াদকালে যেন কলেজের একটি অডিটরিয়াম নির্মাণ সম্ভব হয়- সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখবো।
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রপেসর ড. মো. আহসান হাবীব, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আবু বকর সিদ্দিকী, জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর মদন কুমার সাহা। আলোচনা করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আহসান মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ছাত্রলীগ এমএম কলেজ শাখার সদস্য শেখ ইব্রাহিম সাগর, ওহিদুল ইসলাম রাব্বি প্রমুখ। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাতেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।