নিজস্ব প্রতিবেদক
চাকরি না করায় প্রভিডেন্ট ফান্ডের প্রায় ছয় লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং অন্য নারীর ছবি দিয়ে সংসারে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগে কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে যশোরে আদালতে পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। ১৮ মে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দিয়ারপাড়া গ্রামের ওয়াজিউল্লাহর ছেলে ও যশোর শহরের মণিহার ব্যাটারি পট্টির বাসিন্দা নজরুল ইসলাম মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রহমত আলী মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) যশোরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামি নড়াইল সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আব্দুল মতিন মোল্যার ছেলে ও ঢাকার মেখ দি যাত্রাবাড়ি এলাকার বেটা সলিউশন কোম্পানির মালিক আছাদুল্লাহ।
মামলায় বলা হয়েছে, আসামি নজরুল ইসলাম তার বড় ভাইয়ের শ্যালক হন। ২০০৯ সালের ৬ জুন থেকে আসামি আছাদুল্লাহ’র কোম্পানিতে বাদীকে মাসিক বেতনে চাকরি দেয়া হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর চাকরি করে প্রভিডেন্ট ফান্ডে বাদীর পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার টাকা জমা হয়। কিন্তু কিছুদিন পূর্ব থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাদীর সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে আসামি। ফলে বাদী সেখানে আর চাকরি করবেন না বলে জানিয়ে দেন। ফলে বাদীর উপর আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে তার ক্ষতি করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এরই মধ্যে বাদী অন্য একটি কোম্পানিতে চাকরি নেন। এর বেশ কিছুদিন আগে বাদীর মোবাইলে সেবা গ্রহিতা এক নারীর সাথে একটি ছবি তোলা ছিলো। আসামি কৌশলে ওই ছবি নিয়ে বাদীর স্ত্রীর হোয়াট্সঅ্যাপে পাঠিয়ে দেয় আসামি। এতে করে বাদীর স্ত্রীর সাথে তার সাংসারিক ও দাম্পত্য চরম অশান্তি সৃষ্টি হয়। গত ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে আসামি ও সাক্ষীদেরকে বাদীর বাসায় ডেকে আনা হয়। এসময় ওই ছবি বাদীর স্ত্রীর হোয়াট্সঅ্যাপে কেন দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে আসামি আছাদুল্লাহ বলেন তার কোম্পানিতে চাকরি না করা এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডে থাকা পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এই কাজ করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে ব্যর্থ হয়ে আদালতে এই মামলাটি করা হয়েছে।