পাঁচ বছরের ছোট ভাইকে বেঁধে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিশুর মা ৭ মার্চ যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত চয়ন হোসেনকে আটক করে পুলিশ। চয়ন হোসেন যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা।
ওই শিশুর মা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার ৯ বছরের মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। চয়ন তার বাড়িতে যায় এবং ঘরের মধ্যে ঢুকে মেয়েকে জাপটে ধরে খাটের ওপর ফেলে দেয়। এ সময় পাশে থাকা ছোট ভাই কান্নাকাটি করলে চয়ন একটি কাপড় দিয়ে তার মুখ বাঁধে। এরপর আরো একটি কাপড় দিয়ে খাটের পায়ের সাথে বেঁধে রাখে। মেয়েটিও চিৎকার দিলে উড়না দিয়ে তার মুখও বেঁধে ফেলে। পরে তাকে ধর্ষণ করে। তার মেয়ে চিৎকার করতে গেলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় চয়ন।
সরকার ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন পাস করে প্রশংসিত হয়েছে। এমন একটি কঠোর আইন দেশে জরুরি ছিল। কারণ আমরা যেন আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। গৃহবধূ থেকে স্কুলের ছাত্রী ও শিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের হররোজের যে চিত্র তা তুলে ধরা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কি। এসব ঘটনায় প্রমাণ হয় আমাদের সমাজ অসুস্থ হয়ে গেছে। এটা সভ্য সমাজের লক্ষণ নয়। আমাদের সমাজের কোনো একটা জায়গায় রোগ হয়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে গেছি আমরা সবাই। ভুক্তভোগীদের মর্মযাতনা উপলব্ধি করে এর বিরুদ্ধে আরো কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে চিন্তা সমাজ বিজ্ঞানী, সরকার, রাজনীতিক সমাজসেবী সবাইকে ভাবতে হবে। এ ভাবে কোনো সভ্য সমাজ চলতে পারে না। অব্যাহত এ অপরাধের কারণে একদিন দেখা যাবে- এ জাতি অসভ্য জাতির কলঙ্ক তিলক ললাটে উঠেছে।
এক একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে আর বিভিন্ন জনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে পত্র-পত্রিকায়। আর এ সব দেখে ধর্ষিতা এবং ধর্ষিতাদের স্বজনদের হা-হুতাশ করা ছাড়া কিছুই থাকছে না। সামাজিক ব্যবস্থার কারণে তাদেরকে সারা জীবন কলঙ্কের ডালি বয়ে নিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
বিভিন্ন সময় ধর্ষণ-হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন কম হয়নি। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন পাস হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই থামছে না এ অপরাধ। ধর্ষকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কেন এমনটি হচ্ছে তা সমাজ বিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু এখনো ধর্ষকরা নির্ভয়ে এই জঘন্য অপরাধটি একের পর এক করেই যাচ্ছে। অপরাধীরা যেন আষ্কারা পাচ্ছে। অপরাধ ঘটাতে দুর্বৃত্তরা সাহস পাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের মর্মযাতনা উপলব্ধি করে এই পাইকারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে আরো কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে চিন্তা সমাজ বিজ্ঞানী, সরকার, রাজনীতিক সমাজসেবী সবাইকে ভাবতে হবে। এভাবে কোনো সভ্য সমাজ চলতে পারে না।