নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর মেডিকেল কলেজে মরণোত্তরদেহ দান করেছেন লেখিকা জাহানারা মুক্তা। যশোরের নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে এফিডেফিটের মাধ্যমে তিনি দেহ দানের ঘোষণা দেন। নারী মুক্তি সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী এই লেখিকা দীর্ঘ দিন মানুষের মুক্তির জন্যে বাম আন্দোলনের সাথে জড়িত। যশোরের মণিরামপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ হয়েও এমন মহত কাজে নিজের দেহ দান করার ঘোষণা দেওয়া এক অনুকরণীয় ঘটনা।
উপজেলার পানিছত্র গ্রামের বাসিন্দা জাহানারা মুক্তা ১৯৫৯ সালের ৬ মার্চে তার জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় তিনি কৃষিজীবী। তিনি চিকিৎসা সেবার উন্নতিতে নিজের দেহ দেওয়া কথা বলেন। তার মৃত্যুর পর দেহটি যশোর মেডিকেল কলেজ পাবে বলেও উল্লেখ করেন। চিকিৎসা সেবায় শিক্ষার্থীরা এই দেহ ব্যবহার করতে পারবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। তার ঘোষণাপত্রে যশোর মেডিকেল কলেজের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন অধ্যক্ষ ডা. মহিদুর রহমান। ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করেন অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু।
বাম রাজনীতির করার কারণে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন তিনি। সবসময় নারীদের আত্ম মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। স্বপ্ন দেখেন শোষণ মুক্ত একটি সাম্য সমাজের। তার প্রকাশিত ৩টি গ্রন্থ রয়েছে। গ্রন্থগুলি হলো- নারী মুক্তির পাঠশালা, প্রয়াত নক্ষত্রের আলো (গল্প গ্রন্থ) ও সভ্যতার আত্মবিলাপ (শ্রমজীবী নারীদের উপরে লেখা)।
তার দেহদান সম্পর্কে অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন গৃহবধূ এত বড় সাহস ও ত্যাগ দেখিয়েছেন এটা সমাজের জন্যে দৃষ্টান্ত। তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে কেউ কেউ জীবন ফিরে পেতে পারে, মেডিকেল শিক্ষায়ও কাজে লাগবে। এটি একটি অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা।
