তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, মামলা করার সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের কারখানা থেকে বোঝাই দেয়া পাঁচ ট্রাকে ৭২ মেট্রিক টন টিএসপি সার যশোরের গুদাম চত্বরে আসার আগেই নকল হয়ে গেছে। সন্দেহ হওয়ায় ট্রাক থেকে সার খালাস বন্ধ রেখে ল্যাবে নমুনা টেস্ট করে নকল প্রমাণ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে টিএসপি কমপ্লেক্সের এমডির কাছে। প্রতিবেদনে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সুপারিশ করা হয়েছে।
যশোরে গুদামের ইনচার্জ আক্তারুল ইসলাম জানান, ১৭ মার্চ বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি’র) যশোর গুদাম চত্বরে এসে পৌঁছায় পাঁচ ট্রাকে বোঝাই ৭২ মেট্রিক টন টিএসপি সার। সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় টিএসপি সার কারখানা থেকে ৬ টি ট্রাকে করে ৭০ মেট্রিক টন সার গত ১৫ মার্চ রাতে যশোর সদরের বাহাদুরপুরে অবস্থিত বিসিআইসি নিয়ন্ত্রিত বাফার গুদামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এসময় ট্রাক বোঝাই থাকা সার দেখে তার সন্দেহ হলে তিনি খালাস বন্ধ করে সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সন্দেহের বিষয়টি অবহিত করেন। এবং ওই দিনই টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডে লিখিত আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রাকসহ সারগুলো জব্দ করার নির্দেশ দেন। সারবোঝাই ট্রাকগুলো হলো ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-০১৩৬, ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-০৬২১, ঝিনাইদহ-ট-১১-১৩৪৮, ঝিনাইদহ-ট-১১-০৯১৬, ঝিনাইদহ-ট-১১-০৯৮২।
উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা আপাতত সার খালাস না করে ট্রাকসহ গুদামের বাইরে রাখার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, গত ২১ মার্চ টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি যশোরে এসে জব্দকৃত সারের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের সার কারখানার পরীক্ষাগারে নিয়ে যান। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন টিএসপি কমপ্লেক্সের উপ-প্রধান রসায়নবিদ রেজাউল ইসলামকে প্রধান করা হয়েছে। অন্য দু’জন হলেন উপ প্রধান হিসাব রক্ষক নির্মল কুমার দত্ত ও ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) শফিকুল ইসলাম।
টিএসপি কমপ্লেক্সের উপ প্রধান হিসাব রক্ষক ও তদন্ত কমিটির সদস্য নির্মল কুমার দত্ত বলেন, ল্যাব পরীক্ষাগারে টেস্টে দেখা গেছে সব সারই ভেজাল। আমরা ধারণ করছি যোগসাজসে সড়ক থেকে আসল সার নামিয়ে এই ভেজাল সার উঠানো হয়েছে। আমরা গতকাল টিএসপির এমডির কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে ডিএফপিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, গঠিত কমিটি গতকাল আমার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান টিএসপি কমপ্লেক্সের উপ-প্রধান রসায়নবিদ রেজাউল ইসলাম জানান, আমরা বৃহস্পতিবার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। ল্যাব টেস্টে পুরো সারই ভেজাল পাওয়া গেছে।