নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে দুই দিনব্যাপী পূর্বপশ্চিম আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদরের রামনগরে অবস্থিত আরআরএফ টার্ক সেন্টারে এই উৎসব শুরু হয়। উৎসবে নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা ও ভারতের কবি সাহিত্যিকরা অংশ নিয়েছেন। দেশ ও বিদেশের কবি-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে উৎসব মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক সভাপতি ও মহাপরিচালক কবি ও প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, কবি জাহিদুল হক ও আসাদ মান্নান।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আরও উপস্থিত ছিলেন পূর্বপশ্চিম সম্পাদক কবি অমিত গোস্বামী, নির্বাহী সম্পাদক খায়রুল কবীর চঞ্চল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি উজ্জ্বল চৌধুরী, কবি ইকবাল রাশেদীন, কবি আশরাফ জুয়েল, কবি সৈয়দ আহসান কবীর, শিশুসাহিত্যিক মিলন রহমান, কবি আরশি গাইন, গল্পকার মামুন আজাদ প্রমুখ।
দ্বিতীয় পর্বে কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাজেদ নেওয়াজ। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সানাউল হক, প্রভাত রঞ্জন ভট্টাচার্য, নয়ন বিশ্বাস, নাবিল মান্দার, রকি মাহমুদ, মাহবুবা ফারুক, সৌমিত্র দেব, ইকবাল হোসেন শিকদার, নিজাম মণ্ডল, সালাম তাসির, তৃষা চামেলী, শিউলী দাস, আবু জাহিদ ও অনুপ চণ্ডাল।
তৃতীয় পর্বে গল্প পাঠ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক পাভেল চৌধুরী। গল্প পাঠ করেন- মাসুদ আহমদ, ময়নুল হাসান, মামুন আজাদ, মমতাজ উদ্দিন, শ্বাশত নিন ও মিলন রহমান।
যশোরে দুই দিনব্যাপী পূর্বপশ্চিম আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদরের রামনগরে অবস্থিত আরআরএফ টার্ক সেন্টারে এই উৎসব শুরু হয়। উৎসবে নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা ও ভারতের কবি সাহিত্যিকরা অংশ নিয়েছেন। দেশ ও বিদেশের কবি-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে উৎসব মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
অপরাহ্নে চতুর্থ পর্বে কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দারা মাহমুদ। কবিতা পাঠে অংশ নেন আমিনুল ইসলাম, আরিফুল হক কুমার, ইবাইস আমান, সৈয়দ আহসান কবীর, তাহমিনা শিল্পী, সঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা, বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, আরশি গাইন, অর্ক দাশগুপ্ত, আশামনি, মনিরুজ্জামান, আলী আজগর রাজা, জাহিদ আক্কাস, টিপু সুলতান ওমাহবুব শাহরিয়ার।
পঞ্চম পর্বে ‘সাহিত্যরাজনীতি বন্ধে লিটল ম্যাগাজিনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অনিকেত শামীম। আলোচক ছিলেন পাবলো শাহী, রাজা সহিদুল আসলাম, সিরাজী কবির খোকন, গাজী মো. মাহবুব মুর্শিদ ও মন্দিরা এষ। সন্ধ্যায় ষষ্ঠ পর্বে বাচিক শিল্পী মাসুম আজিজুল বাশার, শ্রাবণী সুলতানা, দূর্বাদল বিশ্বাস, জাহিদুল হক যাদু, শাহেদ, নওয়াজ, নাজমুন নাহার রিনু, কাজী মামুন, নাজনীন সুলতানা, কাজল ইসলাম আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
সন্ধ্যার পর সপ্তম পর্বে ‘ছোটগল্পের ভবিষ্যৎ এবং বিশ্বপাঠকের অবস্থান’ শীর্ষক আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন আনোয়ারা সৈয়দ হক। আলোচক ছিলেন কামরুজ্জামান আজাদ, মুজতবা আহমেদ মুর্শেদ, মঞ্জুর রাজু, রুমা মোদক, সোলায়মান সুমন ও আনিফ রুবেদ।
অষ্টম সেশনে কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবলো শাহী। কবিতাপাঠে অংশ নেন প্রভাষ মল্লিক, মোকাম আলী খান, শাহজাহান কবীর, শাহারিয়ার সোহেল, তিয়াসা গুহ ঠাকুরতা, রাজপথিক, সুমন রেজা, সৌমেন্দ্র গোস্বামী, রেজা মণ্ডল, কামরুজ্জামান সাদ কামাল শাহ আরিফ রহমান, মানবেন্দ্র সাহা, অনিক মাযহার ও রাজপথিক।
আয়োজকরা জানান, এই উৎসবে চারজনকে ‘পূর্বপশ্চিম সাহিত্য সম্মাননা-২০২২’ এবং তিনজনকে ‘পূর্বপশ্চিম সাহিত্য পুরস্কার ২০২২’ প্রদান করা হবে।
১ Comment
Pingback: ফুলের রাজধানীতে ফুল উৎসবে লোকে লোকারণ্য - দৈনিক কল্যাণ