নিজস্ব প্রতিবেদক: সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সোমবার যশোর সেনানিবাসে ১৬৭ জন বীরমুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর সেনানিবাসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ, এসপিপি, এনডিইউ, পিএসসি, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া।
সোমবার ছিল মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে মুক্তিকামী জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সম্মিলিত আক্রমণের সূচনা করে। এর ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় ত্বরান্বিত হয়।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২১ নভেম্বর যথাযথ মর্যাদা ও সম্মানের সাথে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার যশোর সেনানিবাসে মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ১৬৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর প্রধান অতিথি বক্তব্যর শুরুতেই স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এবং শ্রদ্ধা জানান অগণিত বীর শহিদদের ও সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে কাঙ্খিত স্বাধীনতা।
বিশেষ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যশোর অঞ্চলের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত যশোর অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহিদদের প্রতি জানান বিনম্র শ্রদ্ধা। এছাড়াও তিনি আগত সকল মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানটি মহিমান্বিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথি ভাষণে আরও বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশ গঠন মূলক কর্মকা-ের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তির রক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
তিনি আরো বলেন, আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।