বেনাপোল প্রতিনিধি
দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে রপ্তানি করা মাছের ট্রাকের মধ্য থেকে দুই কোটি ৭৮ লাখ ভারতীয় রূপির ৪ কেজি ৬৬৭ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণেরবার জব্দ করেছে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। শনিবার সন্ধ্যায় এ স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। এ ঘটনার পর আমদানি-রপ্তানিতে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে দুই দেশের প্রশাসন। স্বর্ণ পাচারকারী গডফাদাররা বৈধ পণ্যের অন্তরালে এ অবৈধ কারবার শুরু করায় বৈধ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি বেনাপোল বন্দরে প্রশাসনের নজরদারির অভাবে একের পর এক অনিয়ম ধরা পড়ছে।
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখা সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার মোস্তফা অর্গানিক নামক একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তিন টন তেলাপিয়া মাছ সাতক্ষীরা ড-১১-০০৪৭ নং ট্রাকের মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করে। যার বিল অব এন্ট্রি নং সি-১৯২৫১। তারিখ ১২/০৩/২০২৩। পণ্যের মূল্য ৭৫০০ মার্কিন ডলার। পণ্য চালানটি রপ্তানির জন্য ব্রাদার্স সেন্ডিগেট নামক সিএন্ডএফ এজেন্ট বেনাপোল কাস্টমসে ডকুমেন্টস দাখিল করে। পণ্য চালানটি আমদানি করে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বাবা ইন্টারন্যাশনাল। পেট্রাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট ছিল রয়েস ইন্টারন্যাশনাল।
ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশি মাছ বোঝাই ট্রাকটি নোম্যান্সল্যান্ডে পৌঁছলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতের কল্যানী থেকে আসা ১৪৫ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা ট্রাকটি তাদের জিম্মায় নিয়ে নেয়। পরে ট্রাক থেকে মাছের প্যাকেট নামিয়ে তল্লাশি শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে তেলাপিয়া মাছের মধ্য থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৪ কেজি ৬৬৭ গ্রাম। আটক করা সোনার মোট মূল্য ২ কোটি ৭৮ লাখ ভারতীয় রূপি।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, সোনাসহ ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই পাচারকারীর নাম সুশঙ্কর দাস। তিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা।
যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল জানিয়েছেন, এরকম কোন তথ্য তার জানা নাই।