নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের দাউদ শেখের ছেলে মামুন শেখকে (৩৭) গত সোমবার তার ৮ মাসের নিজ সন্তান আল হাবিবকে গাছের সাথে ঝুলিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাটি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে মামুন নামের ওই নরপশুকে গ্রেফতার করে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মামুন শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় কুলসুম বেগমের (৩০)। তাদের ঘরে দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। এদিকে, এক বছর আগে মামুন শেখ প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে প্রথম স্ত্রীর কোনো খোঁজ খবর নেন না এবং ছেলে মেয়েদের খাওয়া পরা সংসারিক কোনো খরচ দেন না। এছাড়া প্রায়ই যৌতুকের জন্য কুলসুম বেগমকে মারপিট ও নির্যাতন করে। এর জের ধরে সোমবার দুপুর ২টার দিকে মামুন শেখ কুলসুম বেগমকে তার বাবার বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা যৌতুক আনতে বলেন। কিন্তু কুলসুম টাকা আনতে অস্বীকার করায় তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট ও শ্বাস রোধে হত্যা চেষ্টা করেন মামুন। এ সময় মামুন শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী মাফুজা আক্তার সাথীও কুলসুমকে মারপিট পালিয়ে যায়। দ্বিতীয় বউ চলে যাওয়ায় রাগান্বিত হয়ে মামুন শেখ ৮ মাসের দুধের শিশু বাচ্চা আল হাবিবকে আম গাছের ডালে পা ওপর দিকে দিয়ে ঝুলিয়ে মারধর করে ও শ্বাস রোধে হত্যা চেষ্টা করে। কুলসুম বেগম ও তার শাশুড়ি মামুনের হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও মারপিট করে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বিষয়টা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় শিশুর মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামি মামুন শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।