কল্যাণ ডেস্ক : শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী আর নেই। সোমবার বিকেলে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মুশতারী শফীর পরিবারের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক বেগম মুশতারী শফী গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কিডনি, রক্তে সংক্রমণসহ নানা জটিলতার জন্য গত ২ ডিসেম্বর তাঁকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা নিয়ে এসে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ঢাকাতে মেয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। ১৪ ডিসেম্বর শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি হলে সিএমএইচে নেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ এপ্রিল বেগম মুশতারীর স্বামী চিকিৎসক মোহাম্মদ শফী ও ছোট ভাই এহসানুল হক আনসারীকে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন বেগম মুশতারী। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকার জন্য ২০১৬ সালে শহীদজায়া মুশতারী শফীকে ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি। ২০২০ সালে পেয়েছেন বেগম রোকেয়া পদক।
চট্টগ্রামে নারী অধিকার আদায় ও সুরক্ষার জন্য দীর্ঘদিন কাজ করেছেন মুশতারী শফী। বাংলাদেশ ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলনের একজন অন্যতম সংগঠক তিনি।
‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী’, ‘চিঠি’, ‘জাহানারা ইমামকে’ এবং ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’ মুশতারী শফীর উল্লেখযোগ্য রচনা।
১৯৬৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে ‘বান্ধবী’ নামে মাসিক সাময়িকী প্রকাশ করেছিলেন মুশতারী শফী। বান্ধবী সংঘ প্রচারের সময় মেয়েদের প্রেস নামে একটি ব্যতিক্রমী মুদ্রণ সংস্থাও গড়ে তুলেছিলেন লড়াকু এই নারী।
মুশতারী শফীর জন্ম ১৯৩৮ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুরে।
সর্বশেষ
- কুষ্টিয়ায় মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, তদন্তে পুলিশ ও র্যাব
- ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে শিশুদের বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেবে সরকার
- মণিরামপুরে দোকানের তালা ভেঙে ভয়াবহ চুরি
- যশোরে নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টা পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- যশোরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত ১
- যশোরে ছুরিকাঘাতে মুসলিম একাডেমির দুই ছাত্র আহত
- রানীরা কাউকে অনুসরণ করে না : অপু বিশ্বাস
- গাজায় জাতিসংঘের ১০টি ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল