নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি শহীদ কবির হোসেন পলাশের ১২তম হত্যাবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের এই দিন সন্ধ্যায় যশোর শহরের ঈদগাহ মোড়ে সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা হামলায় নির্মমভাবে প্রাণ হারান তরুণ এই ছাত্রনেতা। তার মৃত্যুতে সেদিন শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো যশোর, শোকে ভেঙে পড়েছিল পরিবার, সহপাঠী এবং রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।
দীর্ঘ ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও পরিবার ও সংগঠনের কাছে পলাশ আজও এক শূন্যতার নাম, অসমাপ্ত স্বপ্নের প্রতীক।
হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে পলাশের পরিবারের পক্ষ থেকে আজ কোরআন খতম, এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পলাশের বড় বোন ফারহান ইয়াসমিন রুমা বলেন, প্রতি বছর এই দিনটি তাদের জন্য বেদনা আর বিষাদের স্মৃতি নিয়ে ফিরে আসে। প্রিয় ভাইকে হারানোর ক্ষত তাদের আজও সাড়েনি-বরং সময়ের সাথে আরও গাঢ় হয়েছে শোকের রং।
পলাশের পরিবারের সদস্যরা জানান, “পলাশ শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মী ছিল না, সে ছিল পরিবারের আনন্দ, সাহস আর ভরসার জায়গা। তার মৃত্যু আমাদের আজও তাড়া করে বেড়ায়।”
হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা ছাত্রদল আজ কারবালা গোরস্থানে কবির হোসেন পলাশের কবর জিয়ারত, শহরের সিভিল কোর্ট মোড়ে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি জানান, “শহীদ ছাত্রনেতা কবির হোসেন পলাশের আত্মত্যাগ ছাত্রদল কখনো ভুলবে না।
ছাত্রদলের তরুণ নেতা হিসেবে পলাশ ছিলেন সংগঠনের স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের সম্ভাবনা। কিন্তু সেদিনের নির্মম হামলায় সবকিছুই স্তব্ধ হয়ে যায়। তার সহযোদ্ধাদের মতে, “পলাশকে হত্যা করা হয়নি-একটি প্রজন্মের আশা, এক তরুণ স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছিল।”
১২ বছরেও ন্যায়বিচারের প্রতীক্ষা যেন থেমে নেই। পলাশের পরিবার এখনও আশা করে-একদিন তার হত্যাকাণ্ডের আসল পরিকল্পনাকারী ও জড়িতরা আইনের আওতায় আসবে।
