নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে তিনদিন আগে নদীতে নিখোঁজ মশিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে সীমান্তের খলিসাখালি খাল এলাকা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মরদেহের শরীরে বাঁধা পাঁচ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ৪০টি সোনার বার উদ্ধার করে তারা। মশিয়ার রহমান গোগা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের বুদো মোড়লের ছেলে। খুলনা ২১ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খুরসিদ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে একটি সোনার চালান নিয়ে ইছামতি নদী দিয়ে ভারতের পিপলি সীমান্তে প্রবেশকালে নদীতে ডুবে যান মশিয়ার। তিনদিন ধরে সীমান্তের ইছামতি নদীতে তার মরদেহ উদ্ধারে বিজিবি, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) চেষ্টা চালায়। তবে ভারত অংশে প্রবেশে বিএসএফ বাধা দেওয়ায় ডুবুরিরা মরদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। অবশেষে তিনদিন পর বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশি খলসিখাল এলাকায় মরদেহটি ভেসে ওঠে।
স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়। এদিন দুপুরে বিজিবি সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। একই গ্রামের হাবিবুর রহমান, জামাল হোসেন ও রহিম বক্স নামে তিনজন চোরাকারবারি মশিয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানায় স্বজনেরা। তারা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
নিহত মশিয়ারের ছেলে হাছানুজ্জামান বলেন, রোববার আব্বা বাসায় দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এমন সময় তারা তাকে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে গেলেও বাবা বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকি। পরে মঙ্গলবার শার্শা থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। আজ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান বলেন, নদীতে ভেসে থাকা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ ও যশোর ডিবি পুলিশ চেষ্টা করছে। মরদেহ তল্লাশি করে পাঁচ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ৪০টি সোনার বার পাওয়া যায়।