কল্যাণ ডেস্ক
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের গোপন গেরিলা প্রশিক্ষণচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তা মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার ভাটারা থানার মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সুমাইয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল সুমাইয়াকে হেফাজতে নেয় এবং মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।
গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক ও প্রশিক্ষণে অংশ নেয়।
এই ঘটনায় ১৩ জুলাই ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয় এবং ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা বর্তমানে কারাগারে আছেন। সুমাইয়া জাফরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্বামী মেজর সাদিকের সঙ্গে ওই বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।
১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই মেজর সাদিককে ঢাকার উত্তরা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে একটি সামরিক তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পূর্ণ তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার সার্বিক তদন্তে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে বলেও আইএসপিআরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
আরো পড়ুন : গণতন্ত্র অভিযাত্রায় ঐক্যের ডাক তারেক রহমানের