আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি হয়েছে সেটি থেকে পিছিয়ে না গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তিনি আশাবাদী। রোববার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে নিজের এমন আশাবাদের কথা জানিয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। পশ্চিমারা আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করলেও এটিকে রাশিয়ার ‘বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ এবং দেশটির পশ্চিমাপন্থী নেতাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চায় পুতিন প্রশাসন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং ইউক্রেনের দিমিত্রো কুলেবা এই মাসের শুরুর দিকে তুরস্কের অবকাশ শহর আন্টালিয়াতে বৈঠকে মিলিত হন। মধ্যস্থতাকারী স্বাগতিক দেশের প্রতিনিধি হিসেবে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু-ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে ওই আলোচনায় সুনির্দিষ্ট ফলাফল আসেনি। পরে গত সপ্তাহে রাশিয়া ও ইউক্রেন সফরে গিয়ে দেশ দুইটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন তিনি।
যুদ্ধরত দেশ দুইটি সফরের পর তুর্কি দৈনিক হুরিয়েতের সঙ্গে আলাপকালে কাভুসোগলু বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পক্ষগুলো বর্তমান অবস্থান থেকে এক ধাপ পিছিয়ে না গেলে আমরা যুদ্ধবিরতির জন্য আশাবাদী।’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ইউক্রেন ইস্যুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরদোয়ানকে সরাসরি ফোন করে ইউক্রেনের সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির জন্য রাশিয়ার সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো তুলে ধরেছেন তিনি। এ সময় পুতিনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানান এরদোয়ান। এ ধরনের আলোচনার জন্য দুই নেতাকে আতিথ্য দিতে তুরস্কের আগ্রহের কথাও জানান তিনি। এরদোয়ান বলেন, বিদ্যমান সংকটে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পথ দেখাতে পারে। তবে কিছু বিষয়ে চুক্তি বা সমঝোতার জন্য দুই নেতার বৈঠকের প্রয়োজন হতে পারে।