কেশবপুর (যশার) প্রতিনিধি
শুক্রবার রাতে কেশবপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালবেলা ও দৈনিক কল্যাণ পত্রিকার কেশবপুর প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদকে হাত পা ভেঙ্গে দেয়া ও জীবননাশের হুমকি প্রদান করা হয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর সিদ্দিক টিটো এমন হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে কেশবপুর প্রেসক্লাবে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
জানা গেছে, যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর হলফনামা ও তার কর্মী সমর্থকদের আচরনবিধি লঙ্ঘনের সংবাদ জাতীয় দৈনিক কালবেলা ও যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কল্যাণ, প্রথম আলো, যুগান্তর, আজকের পত্রিকা, গ্রামের কাগজসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে দাঁড়িয়ে কেশবপুর পৌর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিক টিটো সাংবাদিদের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে পৌঁছলে তাকে উদ্দেশ্য করে তার হাত-পা ভেঙে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এসময় তার সাথে থাকা একদল ব্যক্তিকে ওই সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দেয়। এসময় কেশবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হলে হুমকিদাতারা পরবর্তীতে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুহিন হোসেন এবং কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলমকে অবহিত করা হয়।
এ ঘটনায় কেশবপুর প্রেসক্লাবে শনিবার বিকেলে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান। সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন, সাবেক সভাপতি যুগান্তর প্রতিনিধি আজিজুর রহমান, নয়া দিগন্ত প্রতিনিধি আব্দুল হাই সিদ্দিকী, প্রথম আলো প্রতিনিধি দিলীপ মোদক, কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম খান, রুপান্তর প্রতিদিন প্রতিনিধি উৎপল দে, দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি শামসুর রহমান, ইনকিলাব প্রতিনিধি হাজী রুহুল কুদ্দুস, আমার সংবাদ প্রতিনিধি শেখ শাহীনুল ইসলাম, তৃতীয় মাত্রা প্রতিনিধি আব্দুল করিম, আজকের পত্রিকার ও গ্রামের কাগজ প্রতিনিধি কামরুজ্জামান রাজু, দৈনিক স্পন্দন প্রতিনিধি মিলন দে, স্বদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন, খুলনাঞ্চল প্রতিনিধি আলমগাীর হোসেন, সত্যপাঠ প্রতিনিধি অলিয়ার রহমান প্রমুখ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এছাড়াও থানায় জিডি ও সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিক টিটো বলেন, হুমকি দেয়া তো দূরের কথা আমি তার ছায়াও দেখিনি।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সামাদ বলেন, ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানাই। এ ঘটনাটি টিটোর ব্যক্তিগত। এর সাথে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।