নিজস্ব প্রতিবেদক
সিআইডি পুলিশ পরিচয়ে যশোরে রাবেয়া আক্তার পপি নামে এক নারীর কাছ থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলার গর্ভে আসামির নাম সালমান বলা হলেও এজাহারে অজ্ঞাতনামা ও মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। বাদী রাবেয়া আক্তার পপি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বুরুঙ্গাচরা গ্রামের মৃত সাইলেস হাওলাদারের মেয়ে।
তিনি মামলায় বলেছেন, স্বামীর সাথে ডিভোর্সের পর তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি এক্সিম ব্যাংকের একাউন্টে কয়েক লাখ টাকা জমা রাখেন। এরই মধ্যে পরিবারের সাথে মনোমালিন্য দেখা দেয়ায় অন্য একটি কর্মের সন্ধানে যশোর শহরের খড়কি রেহেনা বেগমের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতে শুরু করেন। অনলাইনে কাজের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর টিকটকে অজ্ঞাতনামা ওই আসামির সাথে তার পরিচয় হয়। এরপরে ওই ব্যক্তির মোবাইল ফোনে এবং ইমুতে বিভিন্ন সময় কথাপকথন ও দেখা হয়। এসময় আসামি সিআইডি পুলিশে চাকরি করেন বলে পরিচয় দেয়। ইমুতে আসামির সিআইডি পুলিশের চাকরির পরিচয়পত্রের ছবি দেন। এক পর্যায় দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার নাম সালমান ও বাড়ির ঠিকানা ঢাকা বলে জানান। গভীর সম্পর্কে গড়ানোতে তার কথামত চলাফেরা করার এক পর্যায় বিভিন্নস্থানে দেখা সাক্ষাত ও করেন। হঠাৎ একদিন চাকরিতে সমস্যা হয়েছে বলে মোবাইল করে কান্নকাটি করে আসামি। ওই সমস্যা ঠিক করতে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানানো হয়। তার সমস্যার কথা শুনে চলতি বছরের ৮ মার্চ বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার তিনশ’ টাকা, পরবর্তীতে দেড় লাখসহ মোটর ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। গত ১০ জুন তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। এর ২/৩ দিন আগে থেকে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় আসামি। বিভিন্নস্থানে খোঁজখবর নিয়েও আসামির সন্ধান না পেয়ে থানায় মামলাটি করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই রনজিত সেন বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।