নিজস্ব প্রতিবেদক
ভূমি অফিসে নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন ও দুর্নীতি রুখতে যশোর সদর উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শন করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে তাদের একটি দল সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসানের সাথে সাক্ষাত করেন। এসময় ঘুষ ও দুর্নীতিসহ ৯টি বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চান তারা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ খান জানান, যশোরকে সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিমুক্ত জেলা হিসেবে গড়তে শিক্ষার্থীরা কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এসিল্যান্ডের সাথে সাক্ষাত করেছেন। এসময় ভূমি অফিসের ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধসহ নাগরিক সেবার মান কিভাবে উন্নত করা যায় সেবিষয়ে কথা হয়।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের পক্ষে আমরা সহকারি কমিশনারকে কয়েকটি প্রশ্ন করেছি। প্রশ্নের বিষয়ে তিনি যে উত্তর দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা জানতে চেয়েছি, চলতি অর্থবছরে মামলার সংখ্যা এবং নিষ্পত্তির সংখ্যা কত, কয়টি মামলায় সই করা হয়েছে, নথির সংখ্যা কত, বিগত অর্থ বছরের মামলা বাকি কেনো, নামপত্তনের ক্ষেত্রে মূল সার্টিফাইড কপি কেন নেয়া হয়, চুড়ামনকাটির সরোয়ারী এবং নরেন্দ্রপুরের ফারুক নায়েব সাধারণ মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার কেন করেন, উপশহর, কাশিমপুর এবং নোয়াপাড়ার নায়েব (পাঁচবাড়িয়ায় বসে) শাহাদাত তার নামে ঘুষের অভিযোগ থাকা সত্বেও কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না, হাতে লেখা নামপত্তনগুলো গ্রহণ করা হয় না কেন এবং বিক্রয় হওয়া এবং নিষ্পত্তি হওয়া জমির মালিকদের ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার কেন চাওয়া হয়।
অপর একজন সমন্বয়ক মারুফ হাছান বলেন, ভূমি অফিসের বিষয়ে সাধারণ মানুষের সব থেকে বেশি অভিযোগ ঘুষ ছাড়া এই দপ্তরে কোন কাজ হয় না। অফিসটিকে পরিপূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, আজ আমরা প্রাথমিকভাবে অফিসটি পরিদর্শন করেছি। কয়েকজন কর্মকর্তার বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যশোর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ভূমি অফিসে সেবার মান ও দুর্নীতির বিষয়ে শিক্ষার্থীরা খোঁজ খবর নিতে এসেছিলেন। আমি যথা সম্ভব তাদেরকে সহযোগিতা করেছি। তারা বেশ কয়েকটি বিষয়ে আমার কেছে জানতে চেয়েছিলো, আমি আমার সীমাবদ্ধতার কথাও তাদেরকে জানিয়েছি।