নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই দুর্বৃত্তকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এই ঘটনায় অপহৃত স্কুলছাত্রের পিতা যশোর শহরের বারান্দীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আহম্মেদ শাকিল বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ এই মামলার দুই আসামিকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো, শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গ্রামের মফিজপাড়া এলাকার মৃত জাহিদ মির্জার ছেলে জাহিন মির্জা এবং শহরের শংকরপুর এলাকার তুহিনের ছেলে রাতিন।
এই মামলার পলাতক আসামিরা হলো, আটক রাতিনের ভাই রোহান, খোলাডাঙ্গার মৃত মফিজ চেয়ারম্যানের ছেলে আশা এবং শংকরপুরের অ্যাডভোকেট বাবুলের ছেলে আশরাফুজ্জামান সাজিদ।
বাদী মামলায় বলেছেন, তার ছেলে শাফিন আহম্মাদ আনমোল (১৫) যশোর শিক্ষাবোর্ড স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের এমএম কলেজের আসাদ গেট এলাকায় অবস্থান করছিল শাফিন। এ সময় চারটি মোটরসাইকেলে আসামিরা সেখানে এসে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে শাফিনকে ঘিরে ধরে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। শাফিন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাকে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে এবং একপর্যায়ে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
খড়কি আপন মোড় এলাকায় পৌঁছালে শাফিনের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। তখন দুই দুর্বৃত্তকে আটক করে শাফিনকে উদ্ধার করে জনতা। ধাওয়া খেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়। আটক দুই দুর্বৃত্তদের স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, স্কুলছাত্রকে অপহরণের অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার আটক দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।