নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের বেজপাড়া থেকে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী পাচারের অভিযোগে এক বছর এক মাস পর আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। বেজপাড়া মেইন রোড মসজিস বাড়ির বায়েজিদ হোসেনের মেয়ে শাহান আক্তার সোমবার মামলা করেন। মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে বেজপাড়া মেইন রোড জামে মসজিদের উত্তর পাশে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী হালে খাতুন ওরফে পপির মা, শাকিল, বেজপাড়া মেইন রোডের উত্তর পাশে কচি মোল্লার বাড়ির বাড়াটিয়া মুসার স্ত্রী ময়না বেগম।
মামলায় শাহানা আক্তার বলেছেন, আসামিরা নারী পাচারকারি দলের সক্রিয় সদস্য। আসামি হালে খাতুন বাদির প্রতিবেশি। আসামি শাকিল আসামি হালে খাতুনের আপন ভাইপো। আসামি ময়না বেগম বাদির আর এক ভাইয়ের স্ত্রী। ভিকটিম নিখোঁজ উমাইয়া হাসান স্বর্না বাদি শাহানা আক্তারের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি স্কুলে ১০ শ্রেনীর পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে। স্বর্ণা ১০ শ্রেনীর ছাত্রী হওয়া সত্বেও দিনের অধিকাংশ সময় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে খেলাধুলা করে সময় কাটাতো। বাদির বাড়িতে আসামিরা বসবাস করতো।
আরও পড়ুন: যশোরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঢাকায় গ্রেফতার
বাদির মেয়ে স্বর্ণা বাদিকে কিছু না জানিয়ে গত ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর বেলা ১ টার সময় বাড়ি হতে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়িতে সব সময় যে পোশাক পরতো তাই পরে এক কাপড়ে বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। বাদি তার আত্মীয়স্বজন সব খানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। যার নং ৮৬৮ তারিখঃ ১৮/১২/২১ইং। সাধারণ ডাইরী করার পর বাদি ও থানা পুলিশ বহু চেষ্টা করে স্বর্ণার কোন সন্ধান করতে না পেয়ে বাদি অত্যান্ত মর্মাহত হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ওই ঘটনার পর থেকে শাকিল ও ময়না বেগম অন্যত্র ঘর ভাড়া করে চলে যায়।
এদিকে গত কয়েকদিন পূর্বে এলাকার শায়লা বেগম তার মেয়ে শর্মিলাকে হঠাৎ খুজে পায় না। শায়লা বেগম বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজির এক পর্যায়ে জানতে পারেন যে, হালে খাতুন ওরফে পপির মা শায়লা বেগমের মেয়েকে ফুসলিয়ে পাচার করার চক্রান্ত করছে। তখন শায়লা বেগম এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় হালে খাতুনকে সামাজিকভাবে চাপ প্রয়োগ করলে হালে বেগম শায়না বেগমের মেয়ে শর্মিলাকে এনে দেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাদির মনে বদ্ধমূল ধারনা জন্মায়েছে যে হালে খাতুন ওরফে পপির মাসহ অজ্ঞাতনমা আসামীদের পারস্পরিক যোগসাজসে ও সহায়তায় বাদির মেয়ে স্বর্ণাকে অসৎ উদ্দেশ্যে অন্য কোনস্থানে/ অজ্ঞাতস্থানে পাচার করে দিয়েছে।
বাদি আরো বলেছেন, হালে খাতুন বাদির বাড়ির পাশে হওয়ায় তার মেয়ে স্বর্ণা খাতুনকে বিভিন্ন সময় ডেকে কথাবার্তা বলতো ও ফুসলাতো এবং প্রলোভন দেখাতো। আসামীরা বাদির প্রতিবেশী হওয়ায় কখনও সন্দেহ করতো না বাদি। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হালে খাতুন ওরফে পপির মাকে গ্রেফতার করে সোমবার ২৩ জানুয়ারী আদালতে সোপর্দ করে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে প্রেমিকার মৃত্যু, পুলিশ হেফাজতে
১ Comment
Pingback: বাঁকড়ায় পেটে গজ রেখেই সেলাই - দৈনিক কল্যাণ