ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ফুটফুটে ছেলে সন্তান ও স্ত্রীকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে পরকীয়া করে অন্যের স্ত্রীকে ঘরে তুলেছেন এক পুলিশ সদস্য। বর্তমানে ৫ বছরের ছেলে ও স্ত্রী তাদের অধিকারের জন্য পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে পথে পথে ঘুরছেন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পাইকপাড়া গ্রামের পুলিশ সদস্য পলাশ হোসেনের সাথে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ে হয় একই উপজেলার ধাওড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে তানিয়া পারভীনের। তাদের ঘরে আয়াত নামের একটি ছেলে সন্তান আছে।
কিন্তু পলাশ সাতক্ষীরা থানায় কর্মরত অবস্থায় কলারোয়া উপজেলার অনুর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী তানিয়া ও ছেলে আয়াতকে তাড়িয়ে দিতে শুরু হয় নির্যাতন। গত ১৪ জুলাই অনুর একই উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শুভ আহমেদের সাথে বিয়ের পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে পুলিশ কনস্টেবল পলাশ। অনুর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বদলি সূত্রে কুষ্টিয়া থাকা অবস্থায় স্ত্রী ও তার ছেলে মারধর শুরু করে। তাদের তাড়িয়ে দিয়ে প্রেমিকাকে ২২ আগস্ট বিয়ে করে পলাশ।
এদিকে স্বামীর ও সন্তানের অধিকার ফিরে পেতে অসহায় তানিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিলেও আজও বিচার পাননি।
ভুক্তভোগী তানিয়া পারভীন বলেন, আমি আমার ও আমার সন্তানের অধিকার ফিরে পেতে চাই। আমার স্বামী আমাকে রেখে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য হয়ে এমন কাজ করলো সে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য পলাশ হোসেন বলেন, আমার ফ্যামেলিগত সমস্যা থাকার জন্য আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। এ নিয়ে আপনার তো এত মাথা ব্যাথার দরকার নেই।