নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে হিমোফিলায়া চিকিৎসা কেন্দ্রের (এইচটিসি) যাত্রা শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আবু হাসানাত মো. আহসান হাবীব। এসময় হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এইচটিসি’র জন্য ১১৬ ফ্যাক্টর ইনজেকশন ভায়াল প্রদান করা হয়। যা হিমোফিলায়া রোগীদের চিকিৎসায় বিনামূল্যে ব্যবহৃত হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়েত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার (হেমাটোলজি) ডা. মারুফ আল হাসান, যশোর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. গৌতম কুমার আচার্য্য, যশোর মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধান (ট্রন্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ) ডা. সেলিম রেজা ও ফিরোজাবারি ডিজাবেল চিলড্রেন হাসপাতালের চিফ ফিজিওথেরাপিস্ট ও বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের ডিরেক্টর ইয়াসমিন আরা ডলি এবং হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি নাজমুল আলম। অনুষ্ঠানে হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যশোর শাখার সভাপতি নাসের মুস্তাফিজসহ রোগী এবং স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, শরীরে রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ার জন্য ১৩টি ফ্যাক্টর বা প্রোটিন কাজ করে। শরীরে কোন স্থানে কেটে গেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়া এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে রক্তক্ষরণ হওয়া এ রোগের লক্ষণ। হাত-পায়ের জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, দাঁতের রক্তক্ষরণ ইত্যাদি লক্ষণ দেখে হিমোফিলিয়া রোগী চেনা যায়। যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এইচটিসি’র যাত্রা শুরু হওয়ায় এখন থেকে হিমোফিলায়া রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পাবেন।