শাহিনুর রহমান ও আবুল কাশেম জিয়া: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেলিকপ্টারে পুত্রবধূর ঘরে আসার সংবাদে স্বপ্ন দেখেন একইভাবে নিজ পুত্রবধূকেও ঘরে আনার। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য হয়ে না ওঠার কারণে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় স্বপ্নচারীকে। অবশেষে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর সেই আশা পূর্ণ হয়েছে তার।
এ শখ জাগে যশোরের প্রত্যন্ত অঞ্চল মণিরামপুর উপজেলার চালুুয়াহাটি গ্রামের জানা আলী দপ্তরী তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের। বাবা-মায়ের এ স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে করে স্ত্রীকে নিয়ে ঘরে এসেছেন আমিনুর রহমান। শনিবার দুপুরে জানা আলীর পুত্রবধূ শিলা বাড়িতে আসেন হেলিকপ্টারে। এ দৃশ্য দেখতে শায়লাহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভীড় করেন।
স্থানীয় শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষ এত কাছে থেকে কোনো দিন হেলিকপ্টার দেখতে পায়নি। আমিনুরের বিয়ে উপলক্ষে হেলিকপ্টার গ্রামে আসায় গ্রামবাসী আনন্দিত ও গর্বিত। আমিনুরের মেঝ ভাই আব্দুর রহমান বলেন, তার ছোট ভাই বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য হেলিকপ্টার করে বউ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন। এতে একদিকে তার ছোট ভাই বাবা মায়ের স্বপ্নটা পূরণ করেছে অন্যদিকে গ্রামবাসীও হেলিকপ্টার দেখে আনন্দ পেয়েছে।
নববধূ শিলা বলেন, স্বামী তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছে। পাশাপাশি অনেক ভালো লেগেছে নতুন এক অভিজ্ঞতায়। গ্রামবাসী আমাদের বরণ করে নেয়াটাও অনেক উপভোগ করেছি।
আমিনুর রহমান বলেন, আমরা তিন ভাই ও দুই বোন। ছোট ছেলে হিসেবে বাবা-মায়ের শখ পূরণ করতে হলো। তাই ঘণ্টায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হিসেবে হেলিকপ্টারটি ভাড়া করে স্ত্রীকে ঘরে এনে বাবা মায়ের শখ পূরণ করেছি।
আমিনুর রহমানের পিতা জানা আলী দপ্তরি বলেন, এক সময় পরিবারের মাঝে আমরা আলোচনা করতাম এক ছেলের বউ হেলিকপ্টারে বাড়িতে আনবো। সে কথা মনে রেখে আমিনুর বাড়িতে হেলিকপ্টারে বউ এনেছে। মনে খুব শান্তি পেয়েছি আর কোন শখ বাকি নেই।
